কফি পানের সঠিক অভ্যাস

কম বেশি কফি পান করতে ভালোবাসেন সবাই। তবে এই পানীয় পানেরও যে কিছু নিয়ম থাকতে পারে তা অনেকেরেই অজানা।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Nov 2016, 10:25 AM
Updated : 17 Nov 2016, 10:25 AM

অনেকেই অতিরিক্ত কফি-আসক্তি নিয়ে দ্বিধায় ভোগেন। তবে সঠিকভাবে কফি পান করা গেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য উপকার হতে পারে। স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে কফি পানের ক্ষেত্রে কী কী দিক খেয়াল রাখতে হবে সে বিষয়ে জানানো হয়।

সকাল ১০টার আগে কফিকে না: গবেষণায় দেখা গেছে ঘুম থেকে ওঠার এক’দুই ঘণ্টা পর্যন্ত কর্টিসন নামক হরমোনের মাত্রা বেশি থাকে। যা মানুষকে সচেতন রাখতে সহায়তা করে। তাই ওই সময় কফি পানের প্রয়োজন নেই। বরং কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার পর যখন কর্টিসন মাত্রা শরীরে কমতে শুরু করে তখন কফি পান করা উচিত।

অল্প পরিমাণে কফি পান করুন: দিনের শুরুতে বড় এক মগ কফির তুলনায় কিছুক্ষণ বিরতি দিয়ে অল্প পরিমাণে কফি পান করা বেশি উপকারী।

দুপুর এবং রাতের খাবারের সঙ্গে কফি নয়: দুপুরের খাবার খাওয়ার এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর কফি পান করা উচিত। এতে ঘুম ঘুম ভাব কেটে যাবে। রাতে খাবার শেষে কফি না খাওয়াই ভালো, এতে ঘুমে ব্যঘাত ঘটতে পারে।

‘অল্প ঘুম’য়ের আগে কফি: কাজের ফাঁকে ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলতে ‘পাওয়ার ন্যাপ’-এর তুলনা নেই। ঝিমুনি কাটিয়ে চাঙ্গাভাবে কাজ চালিয়ে যেতে সাহায্য করে এই ছোট ঘুম। ঠিক ঘুমানোর আগে যদি খানিকটা কফি পান করা যায় তবে ঘুম থেকে উঠে আরও ঝরঝরে অনুভব করবেন।

ক্যাফেইন সমৃদ্ধ পানীয়র পর এক গ্লাস পানি: কফি এবং অন্যান্য ক্যাফেইন সমৃদ্ধ পানীয় পান করলে মূত্রের পরিমাণ বেড়ে যায়। যার ফলে শরীর থেকে অনেকটা পানি বের হয়ে যায়। তাই কফি বা এ ধরনের পানীয় পানের পর সাধারণ পানি পান করতে হবে শরীরে পানির ভারসাম্য ধরে রাখার জন্য।

ক্যাফেইন গ্রহণের মাত্রা জেনে রাখুন: এক জন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষদের জন্য ৪০০ মিলি গ্রাম পরিমাণ ক্যাফেইন গ্রহণ নিরাপদ। তাই প্রতিদিন কতটুকু ক্যাফেইন গ্রহণ করছেন সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে। অতিরিক্ত ক্যাফেইন অনিদ্রা, অস্বস্তি এবং পেটের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

প্রশিক্ষণ বা শিক্ষার সময় কফি: যেকোনো কিছু শেখা বা প্রশিক্ষণের পর অল্প করে কফি পান করলে তা স্মৃতিশক্তি প্রখর করতে সাহায্য করে। এতে যা শিখবেন তা দীর্ঘসময় মনে থাকবে। এছাড়া কোনো কাজের তালিকা তৈরির আগেও চাইলে কফি পান করতে পারেন।

ব্যায়ামের আগে কফি: এক কাপ কফি পানের পর যদি ব্যায়াম করা যায় তাহলে আরও স্বতস্ফূর্তভাবে ব্যায়াম করা যাবে। তাছাড়া ব্যায়ামের আগে কফি পানের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।

কফি কীভাবে পান করেন: কফির আসল কার্যকারীতা নির্ভর করে আপনি কীভাবে কফি তৈরি করছেন তার উপর। কারণ বাড়তি দুধ ও চিনি যুক্ত করা হলে তা কফির আসল গুণ নষ্ট করে ফেলে। তাই ব্ল্যাক কফি খাওয়া সব থেকে উপকারী। আর দুধ ও চিনি মেশাতে চাইলে গরুর দুধের বদলে আমন্ড বা সয়া দুধ বেছে নেওয়া যায় এবং চিনির বদলে মেশান মধু।

ছবি: রয়টার্স।