পাতলা চুলে স্টাইল করা বা সামলানো বেশ ঝক্কির কাজ। একটু সচেতন হলে ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনলে এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
Published : 15 Nov 2016, 04:18 PM
রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে পাতলা চুলের সমস্যা দূর করার উপায় ও নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে জানা যায়।
সঠিক প্রসাধনী নির্বাচন: পাতলা চুলে স্টাইল করার ক্ষেত্রে সঠিক প্রসাধনী ব্যবহার করা প্রয়োজন। কেননা অধিকাংশ চুলের প্রসাধনী ভারী যা ব্যবহারে চুল আরও বেশি পাতলা ও চ্যাপ্টা মনে হয়। তাই চুলে ঘনভাব ফুটিয়ে তুলতে ‘ভলিউম’ বা ঘনত্ব বৃদ্ধির শ্যাম্পু এবং চুলের গোঁড়ায় ‘ঘনত্ব-বৃদ্ধিকারক রুট-লিফট স্প্রে’ ব্যবহার করতে পারেন।
চুলের কন্ডিশনার ও ভারী স্প্রে’র ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। না হলে চুল আরও বেশি চিটচিটে ও চ্যাপ্টা মনে হবে।
খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনুন: খাদ্যাভ্যাসের অসঙ্গতি চুল পাতলা হওয়ার জন্য অনেকাংশে দায়ী। চুল পড়া যদি না কমে তবে খাবারে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও আয়রন যেমন- যকৃত, বৃক্ক ও ডিমের সাদা অংশ যোগ করুন। এছাড়াও খাবারে সয়া ও কুমড়ার বীজ এবং গমজাতীয় খাবার রাখুন। এসব খাবার চুল শক্ত করতে ও চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে।
সঠিক সম্পূরক খাবার: চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার প্রাথমিক কারণ হল খাবারে জিঙ্ক ও লৌহের ঘাটতি। যদি দৈনন্দিন খাবার তালিকায় এসব উপাদান সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করা না যায় সেক্ষেত্রে সম্পূরক খাবার বা ভিটামিন ট্যাবলেট হিসেবে এইগুলো খাওয়া যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
চুল বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলা: সম্পূরক খাবার ও ডায়েট ধীরে ধীরে চুল পাতলা হওয়ার সমস্যা কমিয়ে আনে। তবে আপনি যদি তাৎক্ষনিক এ সমস্যার সমাধান চান তাহলে চুল বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলুন। চুল কাটার ধরন পরিবর্তন করে অথবা চুলে কোঁকড়াভাব সৃষ্টি করে ঘনভাব ফুটিয়ে তুলতে পারেন।
মাথা মালিশ: চুলে ঘনভাব ফুটিয়ে তুলতে মাথায় মালিশ করুন। এটি মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে ও চুলের গোড়া শক্তে করতে সাহায্য করে।
প্রতীকী ছবির মডেল: তোরা জাহান। ছবি: ই স্টুডিও।