রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন অবলম্বনে এখানে ত্বকচর্চায় দুধের তিনটি ভিন্ন ব্যবহার উল্লেখ করা হল।
দুধের তৈরি মাস্ক: এই মাস্ক তৈরি করতে লাগবে তিন টেবিল-চামচ দুধ, দুই টেবিল-চামচ ওটস, খানিকটা মধু এবং অল্প পরিমাণে হলুদ। এই উপাদানগুলোর মিশ্রণ ত্বক পরিষ্কার করে আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
সপ্তাহে দুতিন দিন এই মিশ্রণ ব্যবহার করা যেতে পারে। শীত-মৌসুমে এই মাস্ক দারুণ উপকারী। কারণ দুধ ও মধু ত্বক কোমল রাখতে সাহায্য করবে।
ক্লিনজিং মিল্ক: বাইরে থেকে ঘরে ফিরে প্রথমেই ত্বকে জমে থাকা ময়লা এবং দূষিত পদার্থগুলো পরিষ্কার করে নেওয়া জরুরি। নতুবা জমে থাকা ময়লা থেকে নানান ধরনের সমস্যা শুরু হতে পারে।
দিনে একবার তুলা দুধে ভিজিয়ে ত্বক মুছে নেওয়া যেতে পারে। এতে ত্বকের ময়লা দূর হয়। বাজারে যেসব ক্লিনজার পাওয়া যায় তার থেকে দুধ বেশি উপকারী। কারণ এতে কোনো কেমিকল নেই। তাছাড়া দুধ ত্বকের কোমলতা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করবে।
পা ফাঁটার সমস্যা উপশমে: শীতে এই সমস্যায় ভুগতে হয় অনেককেই। নানান লোশন বা ক্রিম দিয়েও পা ফাঁটার সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায় না। দুধ এই সমস্যা সমাধান করতে পারে। পাশাপাশি পায়ের সৌন্দর্য ধরে রাখতেও সাহায্য করবে।
একটি বড় গামলায় খানিকটা দুধ নিন। এর মধ্যে কয়েকটি গোলাপের পাপড়ি ছড়িয়ে দিন। ২০ মিনিট পা ভিজিয়ে রাখুন। কুসুম গরম পানিতে পা ধুয়ে নিন। দুধের ময়েশ্চারাইজিং গুণ পায়ের ফাঁটা ত্বক সারিয়ে তুলতে সাহায্য করবে।
ছবি: রয়টার্স।