স্বাস্থবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে জানানো হয়- বেশি পরিশ্রম করলে, কিংবা অক্সিজেন কম এমন উঁচুতে উঠলে সাধারণত দমের সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও রক্তশূন্যতা, শ্বাসযন্ত্রের প্রদাহ বা রোগবালাই, ব্রঙ্কাইটিস, হৃদরোগ, এলার্জি ইত্যাদি থেকেও দম ফুরোনোর সমস্যা হয়।
সমস্যা তীব্র হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। তবে সাময়িক সমস্যা দূর করার জন্য রয়েছে বিভিন্ন পন্থা।
মুখ গোল করে: দম ফুরোনোর সমস্যা অনুভুত হলে নাক দিয়ে শ্বাস টেনে দুই ঠোঁট গোল করে ধীরে শ্বাস ছাড়তে হবে। ১০ মিনিট ধরে এটি করতে হবে। পদ্ধতিটি দ্রুত শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি কমিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনবে। অস্বস্তি ও দুশ্চিন্তা কমাতেও পদ্ধতিটি সহায়ক।
ব্ল্যাক কফি: কফিতে থাকা ক্যাফেইন শ্বাসযন্ত্রের পেশির অবসাদ কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি শ্বাসযন্ত্রের কাজও উন্নত হয়। এক’দুই কাপ কড়া ব্ল্যাক কফি শ্বাস-প্রশ্বাসের তাল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে। তবে বেশি কফি পান করলে আবার হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে।
আদা: বুকে কফ আটকে থাকা কিংবা নাক বন্ধ হওয়া দম ফুরানো সমস্যার একটি বড় কারণ। যা সারাতে আদা বেশ কার্যকর। বানিয়ে নিতে পারেন আদা চা। দুই কাপ ফুটন্ত গরম পানিতে এক চা-চামচ সদ্য কাটা আদা ফেলে দিয়ে পাত্রের মুথ ঢেকে দিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিট সিদ্ধ করতে হবে, যোগ করতে পারেন মধূও। দিনে দুতিন কাপ এই চা পান করুন।
বিট: শ্বাসকষ্টের কারণ যদি হয় রক্তশূন্যতা. তবে শরীরের লৌহের অভাব হল মূল কারণ। খাদ্যাভ্যাসে বিট যোগ করা হতে পারে সমাধান। যা লৌহ, আঁশ, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও ভিটামিনে ভরপুর। ভালো ফল পেতে প্রতিদিন এক গ্লাস বিট, গাজর ও পালংশাকের জুস খেতে পারেন।
করলা: হাঁপানি সারাতে করলা বেশ উপকারী। শ্বাসকষ্টের একটি প্রচলিত কারণ হাঁপানি। একটি করলা ভর্তা করে এতে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। মিষ্টি ভালো না লাগলে বিট লবণ মিশিয়েও খেতে পারেন।
ছবি: রয়টার্স।