চুল রিবন্ডিংয়ে ক্ষতিকর দিক

সোজা আর ঝলমলে চুল না পেলেও সেই দুঃখ দূর করতে প্রযুক্তি ও সৌন্দর্য বিশারদরা আবিষ্কার করেছেন রিবন্ডিং বা চুল সোজা করার পদ্ধতি। তবে শখ পূরণ হলেও নানান পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখতে হবে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Sept 2016, 11:10 AM
Updated : 25 Sept 2016, 11:10 AM

রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে জানানো হয়, কোঁকড়া বা বাঁকানো চুল সোজা করার পদ্ধতি রিবন্ডিং। চুল সোজা করার এই প্রক্রিয়ায় প্রচুর কেমিকল ব্যবহার করা হয়। আর যে কোনো ধরনের কেমিকলই চুলের জন্য ক্ষতিকর।

এছাড়াও আরও কিছু উপাদানের সাহায্যে চুল সোজা হওয়ার পাশাপাশি আলাদা উজ্জ্বলতা যুক্ত হয় এই প্রক্রিয়ায়। প্রথমে সুন্দর থাকলেও কিছুদিন পরই চুল প্রাণহীন ও ভঙ্গুর হয়ে যায়। আর যাদের চুলে একাধিকবার রিবন্ডিং করা হয়ে থাকে তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা আরও প্রকোপ।

সৌন্দর্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে চুল রিবন্ডিং করার ফলে কি ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে তারই বিস্তারিত তুলে ধরা হল।

রিবন্ডিং করার পর চুল অত্যন্ত সংবেদনশীল ও দুর্বল হয়ে যায়। তাই এই সময় তুলনামূলক বাড়তি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। তাছাড়া চুল রিবন্ডিং করার পর এক মাস চুল বাঁধা যাবে না কোনোভাবেই, এমনকি কানের পিছনেও চুল গুঁজে রাখা চলবে না। এর যে কোনো একটি করলেই চুল বরবাদ হয়ে যাবে।

এই প্রক্রিয়ায় কিছু বাড়তি তাপও দেওয়া হয় যা চুল ও মাথার ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে এটি চুল ও মাথার ত্বক পুড়িয়েও ফেলতে পারে। যদি রিবন্ডিংয়ে ব্যবহৃত কেমিকল দীর্ঘ সময় চুলে লাগিয়ে রাখা হয় তাহলে এই সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। তাছাড়া ব্যবহৃত ধাতুর পাতের তাপমাত্রা বেশি হলেও চুল পুরে যেতে পারে।

রিবন্ডিং করা চুলের জন্য বাড়তি ট্রিটমেন্ট নিতে হয়। এক্ষেত্রে অন্তত ছয় মাস পরপর চুলের বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত দক্ষ কারও হাতে।

এই প্রক্রিয়ায় যে কেমিকেল ব্যবহার করা হয় তার কারণে চুল পড়ার হারও বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া একবার রিবন্ডিং করার পর নিয়মিত ‘টাপ আপ’ প্রয়োজন। আর প্রতিবার ওই ট্রিটমেন্টের পর চুল আরও ভঙ্গুর হয়ে পড়ে।

রিবন্ডিং করানোর পর হেয়ার স্টাইলিস্টের পরামর্শ মতো যত্ন না নিলে চুল নষ্ট হয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি রিবন্ডিং সঠিকভাবে করা না হলেও চুল সুন্দর হওয়ার বদলে বরং নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

 মডেল: নিবেদিতা / ছবি: ই স্টুডিও।