স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে জানানো হয়, পেটের সমস্যা যেমন- পেট ফাঁপা, পেটে ব্যথা, জ্বর, বমি বমি ভাব ইত্যাদি সমস্যা হয়ে থাকে। খাবার থেকে ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমন, অ্যান্টিবায়োটিকের পার্শ্বপ্রতিক্রয়া বা বদহজমের কারণে এই সমস্যা হতে পারে।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে পেটের সমস্যা হলে কী ধরনের খাবার খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে হয়। এখানে সেগুলো বিস্তারিত বর্ণনা করা হলো।
সরিষা বীজ: ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণের কারণে হওয়া পাতলা পায়খানা উপশমে সরিষা বেশ উপযোগী। এর অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান পেটের সংক্রমণ সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে।
আধা চা-চামচ সরিষা দুই টেবিল-চামচ পানিতে এক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। ওই পানি পান করুন। দিনে দুতিনবার সরিষা ভেজানো পানি পানে আরাম পাওয়া যাবে।
লাউ: শরীরে পানির চাহিদা পূরণ করে পানি শূণ্যতা রোধে সহায়তা করে লাউ বা এর রস। তাছাড়া পাতলা পায়খানা সমস্যা কমিয়ে আনতেও এই সবজি উপকারী।
লাউ টুকরা করে কেটে টাটকা থাকা অবস্থায় রস বের করে নিতে হবে। দিনে দুবার ওই রস পান করতে হবে।
কাঁচাপেঁপে: হালকা ও তীব্র পেট ব্যথা উপশমে কাঁচাপেঁপে বেশ উপকারী।
পেঁপে কুঁচি করে কেটে পানিতে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিতে হবে। পানি ছেঁকে কুসুম গরম অবস্থায় পান করতে হবে। দিনে দুতিন বার পান করলে উপকার পাওয়া যাবে।
দই: প্রোবায়োটিকসে ভরপুর দই হজম প্রক্রিয়ার অসামঞ্জস্যতা দূর করতে সাহায্য করে। তাই ব্যক্টেরিয়া এবং অন্যান্য কারণে হওয়া ডায়রিয়া সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে।
ঘরে তৈরি এক্ষেত্রে বেশি উপকারী। দিনে দুতিন কাপ দই খাওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে বাড়তি ফ্লেইভার বা স্বাদযুক্ত দই এড়িয়ে চলতে হবে।
কলা: পাকা ও কাঁচাকলা ডায়রিয়া উপশমে সহায়ক। পাতলা পায়খানা স্বাভাবিক করে তুলতে এই ফল বেশ কার্যকর।
পাকাকলা ও টক দই এক সঙ্গে ব্লেন্ড করে স্মুদি তৈরি করে নেওয়া যেতে পারে। এই মিশ্রণ দিনে তিন বার পান করা যায়। কাঁচাকলা সিদ্ধ করে চটকে এর সঙ্গে খানিকটা লেবুর রস ও লবণ মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।