ওজন কমাতে এবং সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস অত্যন্ত জরুরি। তবে ওজন কমানো মানে এই নয় যে না খেয়ে থাকতে হবে বা কম খেতে হবে।
Published : 15 Sep 2016, 04:26 PM
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ‘ডায়েট কন্ট্রোল’ নিয়ে প্রচলিত কিছু তথ্য এবং করণীয় বিষয় তুলে ধরা হয়। সেখানে কিছু ভুল ধারণা এবং অন্যান্য বিষয় উল্লেখ করা হয়।
চর্বি বিহীন খাবার: ওজন কমানোর জন্য চর্বিজাতীয় খাবার কম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু পুষ্টিবিদদের মতে চর্বিযুক্ত খাবার পুরোপুরি বাদ দিয়ে দেওয়া উচিত নয়। এতে দুর্বলতা ভর করতে পারে। শরীরে শক্তি সঞ্চার করা, কোষ গঠন এবং শরীরের প্রতিটি অংশে ভিটামিন ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য চর্বিজাতীয় খাবার খাওয়া জরুরি। তাই এ ধরনের খাবার পুরোপুরি বাদ না দিয়ে বরং কিছুটা তালিকায় রাখা ভালো। এক্ষেত্রে মাখনের বদলে স্বাস্থ্যকর বিকল্প অলিভ অয়েল বেছে নিতে হবে।
রাতে দেরিতে না খাওয়া: মাঝ রাতে খাওয়ার ফলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। অনেক স্বাস্থ্যসচেতন ব্যক্তি বলে থাকেন তারা রাতের খাবারের পর আর কিছুই খান না। রাতে দেরিতে খাওয়া যেতেই পারে। তবে এক্ষেত্রে নিশ্চিত করতে হবে যেন খাওয়া এবং ঘুমানোর মাঝে বেশ কিছুক্ষণ সময় থাকে। তাহলে আর শরীরে চর্বি জমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকবে না।
কিছু খাবার এড়িয়ে চলা: ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কিছু খাবার যেমন উপকারী তেমনি কিছু খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলা উচিত, এমন ধারণাই প্রচলিত। ফল, সবজি, বাদাম- ওজন কমানোর ক্ষেত্রে বেশ উপকারী। তারমানে এই নয় যে ভাত, রুটি বা পাস্তা একেবারেই বাদ দিয়ে দিতে হবে। অল্প পরিমাণে মাপ মতো সব ধরনের খাবারই খাওয়া যাবে।
হজমে সমস্যা হওয়া: বিশেষজ্ঞদের মতে যার শরীরের ওজন যত বেশি তাদের দৈনন্দিন কাজ চালাতে ততটাই বেশি ক্যালরি খরচ করতে হয়। তাই হজম না হওয়া ওজন বাড়ার মূল কারণ নয়। যখন প্রয়োজনের তুলনায় কেউ বেশি খেয়ে ফেলে তখনই ওজন বৃদ্ধি পেতে থাকে।
খাদ্যাভ্যাসে অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ: ‘ক্রাশ ডায়েট’ হিসেবে পরিচিত ওজন কমানোর জন্য জনপ্রিয় এই পদ্ধতিতে খুব অল্প সময়ে অনেকটা ওজন কমিয়ে আনা যায়। তবে এই উপায়ে দ্রুত ফল পাওয়া গেলেও তা মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। ডাক্তারদের মতে এই ধরনের খাদ্যাভ্যাসের ফলে মেদের পাশাপাশি মাংসপেশি এবং কিছু টিস্যুও ক্ষয় হয়ে যায়। ফলে শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি নানান সমস্যা শুরু হয়। তাই ওজন কমাতে তাড়াহুড়া না করে ধৈর্য্য ধরে খাদ্যাভ্যাস বদলানো উচিত।
ছবি: রয়টার্স।