মাংস খান পরিমিত

উৎসবে, মাংস খাওয়া হয়। তবে তা যেন পরিমিত থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Sept 2016, 06:12 AM
Updated : 3 Sept 2017, 04:52 AM

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সের মেডিসিন বিভাগের পরামর্শদাতা ডা. কামরুল হাসান (বিসিএস স্বাস্থ্য) এই বিষয়ে বলেন, “গরুর মাংস খাওয়ার বিষয়ে সবসময়ই একটু সচেতন থাকা উচিত। অতিরিক্ত মাংস খাওয়া কখনও শরীরের পক্ষে ভালো নয়।”

বয়স, ওজন, উচ্চতা, কাজ করার ধরণ ইত্যাদি ভেদে মানুষের শরীরের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে হয়। তাই সুস্থ থাকতে চাইলে পরিমিত খাবার খাওয়া উচিত।

ডা. কামরুল পরামর্শ দেন, “ভরপেট খাওয়া কখনই স্বাস্থ্যসম্মত নয়, সুস্থ সবল মানুষদেরও পরিমিত পরিমাণে গরুর মাংস খাওয়া উচিত। যাদের হৃদরোগ আছে, হার্টে ব্লক আছে, রক্ত চাপ বেশি, রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি বা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নেই তাদের জন্য গরুর মাংস খাওয়াটা বেশ ক্ষতিকর। সেক্ষেত্রে দুতিন টুকরা বা সর্বোচ্চ চার টুকরা মাংস খেতে পারেন। এর বেশি না খাওয়াই ভালো।”

গরুর মাংস গুরুপাক খাবার। এর সঙ্গে ভারী খাবার যেমন পোলাও, কোরমা ইত্যাদি খাওয়া হলে তা আরও বেশি গুরুতর হয়। তাই গরুর মাংস খাওয়ার পাশাপাশি আঁশযুক্ত খাবার যেমন- সবজি, সালাদ ও তাজা ফল ইত্যাদি খাওয়া প্রয়োজন।

যাদের আলসার বা পিত্তথলিতে পাথরজনিত সমস্যা আছে তাদের গরুর মাংস খেলে খানিকটা অসুবিধা, যেমন- পেটব্যথা, বুক জ্বালা করা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে একটু বেছে খাওয়া উচিত।

অনেকের গরুর মাংসে এলার্জি থাকে। ফলে শরীর ও চোখ লাল হয়ে যায়, চোখ চুলকায়, শরীরে র‍্যাশ দেখা দেয়। এই ধরনের সমস্যা থাকলে যতটা সম্ভব গরুর মাংস এড়িয়ে যাওয়া উচিত।

অনেকের মনে আবার এই নিয়ে নানা দ্বিমত থাকে যে, ‘বছরে একটা দিন ‘নিয়ত’ করে খাওয়া যায়’- সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে অ্যান্টি-অ্যালার্জিক ওষুধ খেয়ে মাংস খাওয়া যেতে পারে। তবে কোনোভাবেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিজে নিজে ওষুধ খাওয়া যাবে না। এটি মারান্তক ক্ষতির কারণ হতে পারে।

ডা. কামরুল বলেন, “উৎসবের দিন অনেক তেল চর্বি ধরনের খাবার খাওয়া হয় যা হজমে অসুবিধা করে। তাই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। এতে দ্রুত খাবার হজম হবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দেখা দেবে না।