শেইভিংয়ের ভুল ধারণা

অবাঞ্ছিলোম দূর করতে সব থেকে সহজ ও দ্রুত পদ্ধতি হিসাবে শেইভিং পরিচিত হলেও এ নিয়ে দ্বিমতের কমতি নেই। প্রচলিত আছে কিছু ভুল ধারণাও।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 August 2016, 10:30 AM
Updated : 31 August 2016, 10:35 AM

লাইফস্টাইলবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এমনই কিছু ভুল ধারণা এবং তার সঠিক দিকটি তুলে ধরা হলো।

শেইভ করলে লোম দ্রুত বাড়ে এবং ঘন হয়ে যায়: এটি সব থেকে প্রচলিত একটি তথ্য। তবে এ ধারণা পুরোপুরি ভিত্তিহীন। কারণ লোমের বৃদ্ধি ও ঘনত্ব শারীরিক অবস্থা, হরমোন ইত্যাদি বিষয়ে প্রভাবিত হয়। এর পিছনে শেইভ করা বা না করার কোনো অবদান নেই।

প্রয়োজনে শুকনা ত্বকেও শেইভ করা যেতে পারে: এটি কখনও করা ঠিক নয়। এতে ত্বকে জ্বালাভাব ও র‌্যাশ হওয়ার সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। বরং কন্ডিশনার বা শেইভিং ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে শেইভ করার জন্য।

নতুন রেইজর ব্যবহারে জ্বালা ও কাঁটাছেড়া হতে পারে: ত্বক কেটে যাওয়া বা ছিলে যাওয়ার মূল কারণ অতিরিক্ত চাপ দিয়ে শেইভ করা। নতুন রেইজর বরং নিখুঁত শেইভের জন্য বেশি উপযোগী। তাই কাটাছেঁড়া এড়াতে অতিরিক্ত চাপ দিয়ে শেইভিং এড়িয়ে চলতে হবে।

শেইভিংয়ের ফলে চামড়ার ভেতরে লোম বৃদ্ধি পেতে পারে: ত্বকের নিচে যে লোমগুলো বৃদ্ধি পায় তার মূল কারণ ওই লোমগুলো কোনো কারণে বাঁধা পেয়ে চামড়া ভেদ করে বের হয়ে আসতে পারেনি। এর পেছনে শেইভিংয়ের কোনো অবদান নেই। এই সমস্যা এড়াতে শেইভিংয়ের আগে ত্বক এক্সফলিয়েট করে নিতে হবে উপযোগী স্ক্রাবার দিয়ে।

শেইভিংয়ের কারণে লোম বেশি কালো হয়ে যায়: এটাও বেশ পরিচিত ভুল ধারণা। লোম ঘন হয়ে ওঠার মতো অনেকেই মনে করেন শেইভ করলে লোম তুলনামূলক বেশি কালচে হয়ে যায়। আসলে শেইভের পর লোমের স্বাভাবিকর রংই বজায় থাকে। তবে নতুন করে গজানোর সময় স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা কালচে লাগতে পারে, যা পরে স্বাভাবিক হয়ে যায়।

Image courtesy of radnatt at FreeDigitalPhotos.net