কর্মক্ষেত্রে অসন্তোষ, হতে পারে মানসিক ক্ষতি

বিশ থেকে ত্রিশ বছর বয়সিদের চাকরিতে সন্তুষ্টি না খাকলে চল্লিশে পর স্বাস্থ্যের উপর এর প্রভাব পড়ে, মানসিক সমস্যাও হতে পারে, এমনটাই সতর্কবার্তা দিয়েছেন গবেষকরা।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 August 2016, 11:10 AM
Updated : 23 August 2016, 11:10 AM

গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, একজন মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য অনেকটাই নির্ভর করে নিজের চাকরির প্রতি তার অনুভূতি কেমন সেটার উপর।

গবেষণার প্রধান গবেষক, যুক্তরাষ্ট্রের দ্য ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটির ডক্টরেটের শিক্ষার্থী জনাথান ডিরলাম বলেন, “চল্লিশের আগ পর্যন্ত চাকরি নিয়ে সন্তুষ্টি আর স্বাস্থ্যের মধ্যে ক্রমবর্ধমাণ সম্পর্ক পেয়েছি আমরা।”

কর্মজীবনের প্রথমিক পর্যায়ে চাকরি নিয়ে যাদের সন্তুষ্টি কম, তারা হতাশা এবং দুশ্চিন্তায় ভোগেন বেশি। সঙ্গে আছে ঘুমের সমস্যা।

কাজে যাদের সন্তুষ্টি কম, কর্মক্ষেত্রে উন্নতি হচ্ছে না, তাদের ক্ষেত্রেই পিঠব্যথা, ঘনঘন অসুস্থ হওয়ার সমস্যাগুলো যারা সন্তুষ্ট তাদের তুলনায় বেশি দেখা যায়।

ওহাইও স্টেটের সহযোগী অধ্যাপক হাই সুং বলেন, “চাকরি নিয়ে অসন্তুষ্ট ব্যক্তিদের মানসিক স্বাস্থ্যগত সমস্যা বেশি দেখা যাওয়া ভবিষ্যতে শারীরিক সমস্যা হওয়ার পূর্বলক্ষণ।”

তিনি আরও বলেন, “অতিরিক্ত অস্বস্তি আর হতাশা পরে হৃদরোগসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত জটিলতার কারণ হতে পারে, যা বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে প্রকাশ পাবে।”

অপরদিকে কাজের প্রতি সন্তুষ্টি যাদের ক্রমেই বেড়েছে তাদের ক্ষেত্রে অসন্তুষ্টদের তুলনায় কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেয়া যায়নি।

গবেষণার জন্য ২৫ থেকে ৩৯ বছর বয়সিদের চাকরির প্রতি সন্তুষ্টির পরিমাণ নিযে পর্যবেক্ষণ করেন গবেষকরা। পরে চল্লিশ বয়সে তাদের বিভিন্ন স্বাস্থ্যবিষয়ক পরীক্ষা করা হয়।

অংশগ্রহণকারীদের চারটি দলে ভাগ করা হয়- ১. সন্তুষ্টি ধারাবাহিকভাবে কম ২. ধারাবাহিকভাবে বর্ধিত সন্তুষ্টি, ৩. যাদের সন্তুষ্টি শুরুতে কম ছিল ও ক্রমেই কমছে এবং ৪. যাদের সন্তুষ্টি শুরুতে কম ছিল তবে ক্রমেই বাড়ছে।

ফলাফলে দেখা দেখা যায়, ৪৫ শতাংশ অংশগ্রহণকারীর সন্তষ্টির মাত্রা ধারাবাহিকভাবে কমছিল, তবে ২৩ শতাংশের সন্তষ্টির মাত্রা কেরিয়ারের শুরু থেকেই আরও কমেছে।

১৫ শতাংশ তাদের চাকরি নিয়ে ধারাবাহিকভাবে সন্তুষ্ট ছিলেন, আর ১৭ শতাংশের সন্তষ্টি ক্রমেই বেড়েছে।

সম্প্রতি সিয়াটলে অনুষ্ঠিত আমেরিকান সোসিওলজিকল অ্যাসোসিয়েশনের সম্মেলনে গবেষণাটি উপস্থাপন করা হয়।

ছবির প্রতীকী মডেল: মাহা।