ওজন কমানোর ৩ পন্থা

সম্প্রতি ওজন কমানোর ক্ষেত্রে উপোস করা বেশ জনপ্রিয় উপায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে কষ্ট করে সারাদিন না খেয়ে থাকার চেয়ে মাঝে মধ্যে খাদ্যাভ্যাসে লাগাম টানার মাধ্যমেও ওজন কমানো যায়।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 August 2016, 10:34 AM
Updated : 11 August 2016, 10:34 AM

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে বলা হয়, সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য উপোস করার ফলে শরীরে ক্যালোরির পরিমাণ কমে। আর ওজন নিয়ন্ত্রক হরমোনগুলো আরও কার্যকর হয়ে ওঠে। তাই এটি বেশ ভালো পদ্ধতি।

তবে না খেয়ে থাকা কষ্টকর হলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার সহজ কিছু পদ্ধতিও রয়েছে।

ক্যালরি কম গ্রহণ: পুরো খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন না করে মাঝে মধ্যে খাবারের তালিকায় পরিবর্তন আনার মাধ্যমে ওজন কিছুটা কমিয়ে আনা সম্ভব। এক্ষেত্রে সপ্তাহে দুদিন আলাদা করে রাখতে হবে, যেসময় কোনো ধরনের বাড়তি ক্যালোরি গ্রহণ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। অন্য পাঁচদিন সাধারণ খাদ্যাভ্যাস চালিয়ে যেতে হবে। তারমানে এই নয় অন্য সময় যা ইচ্ছা খাওয়া যাবে। পুরো সপ্তাহই পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। তবে উপোস করার ক্ষেত্রে মাঝখানে অন্তত এক থেকে দুই দিনের বিরতি রাখতে হবে।

১৬:৮ পদ্ধতি: এটি বেশ সহজ একটি পন্থা। এক্ষেত্রে দিনে ঘুমের সময়সহ মোট ১৬ ঘণ্টা না খেয়ে থাকতে বলা হয়। বাকি ৮ ঘণ্টায় ভাগ করে খেতে হবে। দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খাওয়ার জন্য সময় ভাগ করে নেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে সকালের নাস্তায় এক কাপ চিনি ছাড়া কফি বা ক্যালরি ছাড়া যে কোনো পানীয় গ্রহণ করা যেতে পারে। দুপুরের খাবার হতে পারে দিনের প্রথম খাবার। তবে নিজের সুবিধা মতো সাজিয়ে নেওয়াই বেশি উপকারী হবে।

উপোস: তিনটি পদ্ধতির মধ্যে সব থেকে কঠিন এটি। এক্ষেত্রে টানা ২৪ ঘণ্টা না খেয়ে থাকতে হবে। অর্থাৎ যদি আজকে সন্ধ্যা ৭টায় খাবার খেয়ে থাকেন তবে পরদিন সন্ধ্যা ৭টার আগে আর কোনো খাবার খাওয়া যাবে না।

তবে এই সময় প্রচুর পানি এবং ক্যালরি ছাড়া পানীয় পান করতে হবে। এই ‘ডায়েট’য়ের জন্য সপ্তাহের একটি দিন বরাদ্দ রাখতে হবে।

উপরের পদ্ধতিগুলো ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশ উপযোগী হলেও নিজের শারীরিক অবস্থা, অসুস্থতা ইত্যাদি মাথায় রেখে তবেই অনুসরণ করতে হবে।

ছবি: রয়টার্স।