স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে জানানো হয়- শরীরচর্চা, খেলাধুলা, শারীরিক পরিশ্রম যারা বেশি করেন তাদের এই পেশিতে ‘টান’ খাওয়ার ব্যাপারটা বেশি ঘটে।
আবার যারা পরিশ্রম করেন কম তাদেরও হঠাৎ এই সমস্যা হতে পারে। যেভাবেই হোক না কেনো সমাধান রয়েছে হাতের মুঠোয়।
এপসম লবণ: এতে থাকা ম্যাগনেশিয়াম পেশি শিথিল করতে এবং ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। উপকার পেতে বাথটাবে দুই কাপের মতো এপসম লবণ মিশিয়ে ২০ মিনিট শরীর ভিজিয়ে রাখতে হবে।
বাথটাব না থাকলে একই পরিমাণ এপসম লবণ গোছলের পানিতে গুলিয়ে ২০ মিনিট ধরে দেহ ভেজাতে হবে, যাতে শরীর পানি শুষে নিতে পারে।
শীতল করা: ঠাণ্ডা ব্যথার অনুভুতি ভোঁতা করে, জ্বালা ভাব কমায় এবং আক্রান্ত মাংসপেশি শিথিল করে। পাশাপাশি রক্তনালীর পুনঃবিন্যাস করে ব্যথা কমায়। পাতলা তোয়ালেতে কয়েক টুকরা বরফ নিয়ে তা আক্রান্ত স্থানে চেপে ধরতে হবে। দুদিন ধরে দুই ঘণ্টা পরপর এভাবে বরফ দিতে হবে।
অ্যাপল সাইডার ভিনিগার: ঘন ঘন পেশিতে টান পড়ার অন্যতম কারণ হতে পারে পটাশিয়ামের অভাব। অ্যাপল সাইডার ভিনিগারে থাকে শরীরে তরলের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণকারী পুষ্টি উপাদানগুলো। ফলে দেহে পানির অভাব হওয়া থেকে বাঁচায়।
এক গ্লাস গরম পানিতে এক চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে প্রতিদিন পান করলে পেশির টান পড়া থেকে বাঁচা যায়।
রাতের বেলা পায়ের পেশিতে টান পড়া থেকে বাঁচতে এক টেবিল-চামচ পরিমাণ অ্যাপল সাইডার ভিনিগার, মধু ও ক্যালশিয়াম ল্যাক্টেট— এক গ্লাস গরম পানিতে মিশিয়ে প্রতিরাতে ঘুমাতে যাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে পান করলে উপকার পাওয়া যায়।
হলুদ সরিষা: কয়েক মিনিটে পেশির টান সারাতে পারে বলে খ্যাতি আছে হলুদ সরিষার। এতে আছে অ্যাসিটিক অ্যাসিড, যা ‘অ্যাসিটোলকোলিন’ তৈরিতে সাহায্য করে। যা ‘নিউরোট্রান্সমিটার’ হিসেবে পেশির কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সাহায্য করে।
লবঙ্গ তেল: এতে আছে প্রদাহ বিরোধী উপাদান যা পেশি ফোলা রোধ করে। পাশাপাশি এর অ্যানাস্থেটিক বা অনুভূতিনাশক উপদান ব্যথা উপশম করে। টান পড়া পেশিতে কুসুম গরম লবঙ্গ তেল দিয়ে বেশ কয়েকবার মালিশ করলে উপকার পাওয়া যাবে।