ফেইশলের পাঁচ বিষয়

প্রথমবার হোক কিংবা নিয়মিত— ফেইশল করানোর আগে সবারই খুঁটিনাটি বিষয় জানা থাকা দরকার।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 August 2016, 10:55 AM
Updated : 1 August 2016, 10:55 AM

ভারতীয় রূপবিশেষজ্ঞ এমা ত্রিনিদাদ মনে করেন ফেইশল করানোর আগে কিছু বিষয় জানা থাকা দরকার।

কতদিন পর পর ফেইশল: ঠিক কতদিনের বিরতিতে ফেইশল করানো উচিত এটি বেশ বড় প্রশ্ন। অনেকেরই এর সঠিক উত্তর জানা নেই।

ত্রিনিদাদ বলেন, “সপ্তাহে একবার ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করা উচিত। আর ফেইশলের ক্ষেত্রে মাসে এক থেকে দুবার যথেষ্ট।”

ফেইশলের কার্যকারিতা নির্ভর করে কী ধরনের প্রসাধনী ব্যবহৃত হচ্ছে তার উপর। যদি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী ত্বকের জন্য মানানসই প্রসাধনী বেছে নেওয়া যায় তাহলে ঘরেই ফেইশল করা সম্ভব বলে জানান ত্রিনিদাদ।

বিশেষজ্ঞের পরামর্শ: ফেইশলের বিভিন্ন ধাপ রয়েছে যার কার্যকারিতা নির্ভর করে ত্বকের ধরন বুঝে প্রসাধনী ব্যবহারের উপর। তাই নিজের জন্য কোন ফেইশলটি ভালো তা বুঝতে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

ফেইশলের ধরন: ফেইশলের ধরন বুঝে দুভাগে ভাগ করা হয়। ‘বেইসিক’ এবং ‘অ্যাডভান্স’।

বেইসিক অর্থাৎ প্রাথমিক পর্যায়ের ত্বক পরিষ্কারের জন্য এ ধরনের ফেইশল। আর ত্বকের অন্যান্য সমস্যার জন্য রয়েছে অ্যাডভান্স ফেইশল।

ত্রিনিদাদ বলেন, “ত্বকের চাহিদা যেই ফেইশল পূরণ করতে পারে সেটাই আদর্শ ফেইশল। আর বয়স, স্বাস্থ্যের অবস্থা এবং ঋতুর সঙ্গে এই চাহিদা পরিবরর্তিত হতে থাকে, তাই এসব বুঝে তবেই ফেইশল করাতে হবে।”

কিছু বিষয়ে সচেতনতা: ত্বকে সব হোয়াইট এবং ব্ল্যাক হেডসই যে চেপে বের করতে হবে তা নয়। কিছু ক্ষেত্রে বেশি চাপাচাপির ফলে দাগ হতে পারে। এছাড়া ফেইশলে ব্যবহৃত তোয়ালে, স্পঞ্জ এবং যে করছে তার হাত পরিষ্কার কিনা সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। নতুবা সেখান থেকে ইনফেকশন হতে পারে।

অনেকে ব্লিচ করা পছন্দ করেন। কারণ এতে ত্বকে চটজলদি উজ্জ্বলতা পাওয়া যায়। তবে ব্লিচের পর সূর্যের আলোর কারণে ত্বক আরও বেশি কালচে হয়ে যেতে পারে।

ফেইশল-ই শেষ নয়: সুন্দর ত্বকের জন্য ফেইশল একটি ধাপ মাত্র। নিয়ম মতো ফেইশলের পাশাপাশি ত্বকের সঠিক যত্ন নেওয়াও জরুরি। নয়তো ত্বকের সব ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না।

ছবি কৃতজ্ঞতায়: আকাঙ্ক্ষা’স গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড।