ধারালো মগজাস্ত্রের খাবার

শরীর কার্যক্ষম রাখতে নানা ধরনের পুষ্টি উপাদান প্রয়োজন। তেমনি মস্তিষ্ক সচল রাখতেও চাই বিশেষ খাবার।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 July 2016, 11:38 AM
Updated : 31 July 2016, 11:38 AM

মাথা খেলছে না ঠিক মতো বা ক্লান্তি করছে না ক্ষমা- তাহলে খাদ্যাভ্যাসের উপর নজর দিন। কারণ স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে জানানো হয় মস্তিষ্ক সচল ও কর্মক্ষম রাখতে চাই চকলেট, শষ্যজাতীয় খাবার এবং রঙিন ফল ও সবজি।

চকলেট- সকালে কিংবা বিকালে ছোট এক টুকরা ‘ডার্ক চকলেট’ মস্তিষ্ক চরমভাবে কর্মক্ষম করতে পারে। মনযোগ বাড়াতে সাহায্য করে ডার্ক চকলেট। তাছাড়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও খনিজ উপাদানের উৎস। এসব উপাদান রক্তচাপ উন্নত করে রেখে শরীর কর্মক্ষম রাখে।

অ্যাভোকাডো ও অপরিশোধিত শস্যজাত খাবার: এই দুই ধরনের খাবারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সহজপাচ্য আঁশ যা অল্প গ্লাইকেমিক ইন্ডেক্সে ভরপুর। এই উপাদান মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। লাল আটার রুটি, লাল চালের ভাত, ওটস ইত্যাদি মস্তিষ্কের জন্য উপকারী খাবার।

গাঢ় লাল ও বেগুনি ফল এবং সবজি: ব্লু বেরি স্মৃতিশক্তি প্রখর করতে সহায়তা করে। তবে আমাদের দেশে এই ফল অতটা সহজলভ্য নয়। এক্ষেত্রে বেগুন, কালো জাম, গাজর, লালশাক, বিট, কালো আঙুর ইত্যাদি ফল খাওয়া উপকারী। এই খাবারগুলোর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের জন্য উপকারী।

মিষ্টি কুমরার বীজ: স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে জিঙ্ক বেশ জরুরি একটি খনিজ উপাদান। মিষ্টি কুমরার বীজে রয়েছে প্রচুর জিঙ্ক এবং আরও কিছু উপকারী খনিজ উপাদান। যা মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

পালংশাক: গাঢ় সবুজ এই শাক মস্তিষ্কের জন্য দারুণ উপকারী। বেগুনের মতো মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে পালংশাক। এতে আছে বেটা ক্যারটিন, লুটেইন ও ফোলেট, যা ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভংশ হওয়ার ঝুঁকি কমায়। সপ্তাহে অন্তত তিনবার এই শাক খাওয়া গেলে নিজেই পরিবর্তণ বুঝতে পারবেন।

ছবি: রয়টার্স।