‘দ্য বডি শপ’-এর প্রধান প্রশিক্ষক শিখ আগারওয়াল এই আবহাওয়ায় ত্বকের বিশেষ যত্নের কিছু টিপস উল্লেখ করা হয়।
ত্বকের তেলতেলে ভাব নিয়ন্ত্রণ: এই আবহাওয়ায় ক্রিম বেইজ ফেইসওয়াশ এবং ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম বাদ দিয়ে জেল ফেইসওয়াশ এবং অয়েল ফ্রি ও এসপিএফ সমৃদ্ধ ক্রিম ব্যবহার শুরু করতে হবে। যাদের ত্বক বেশি তৈলাক্ত তাদের উচিত কমপ্যাক্ট পাউডার সঙ্গে রাখা, যেন যে কোনো সময় প্রয়োজন মতো ব্যবহার করা যায়।
ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার: গ্রীষ্ম মানেই যে ময়েশ্চারাইজারকে বিদায় জানাতে হবে তা পুরোপুরি ভুল ধারণা। কারণ এই তপ্ত আবহাওয়ায় ত্বক আর্দ্রতা হারাতে থাকে। তাই ত্বকের তৃষ্ণা মেটাতে প্রয়োজন ময়েশ্চারাইজার যা হতে হবে অয়েল ফ্রি। ভেজা ত্বকের উপর ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে। পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে। কারণ শুধু বাহ্যিক যত্নই যথেষ্ট নয় শরীরের ভেতর থেকে যত্ন নিলেই সুন্দর ত্বক পাওয়া সম্ভব।
ফাউনডেশনকে বিদায়: এই গরমে ঘন ফাউন্ডেশন ব্যবহার করা উচিত নয়। বরং ত্বকের খুঁত ঢেকে ফেলতে প্রতিদিনের ব্যবহারের জন্য বিবি বা সিসি ক্রিম, হালকা রংয়ের লিপস্টিক বা গ্লস ব্যবহার করতে হবে।
‘ওয়াটার প্রুফ’ প্রসাধনী: গরমে কম আর বেশি, ঘাম হয় সবারই। তাই মেইকআপ, মাস্কারা, লাইনার নষ্ট হয়ে যায়। তাই এই মৌসুমে ‘ওয়াটার প্রুফ’ প্রসাধনী ব্যবহার করতে হবে। বিশেষত লাইনার এবং মাস্কারা অবশ্যই ‘স্মাজপ্রুফ’ এবং ‘ওয়াটার প্রুফ’ বেছে নিতে হবে। নতুবা ছড়িয়ে গিয়ে দেখতে বাজে লাগবে।
চুলের যত্ন: গ্রীষ্মে রোদের তাপে চুল রুক্ষ হয়ে যায়, তাই চুলের বাড়তি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই চুলের আগার অংশে কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। পাশাপাশি প্রতিদিন চুল শুকাতে ব্লো ড্রায়ার ব্যবহার এড়িয়ে চলতে হবে। করলে চুল রুক্ষ ও প্রাণহীন হয়ে পড়বে।
চুল বারবার বা বেশি বেশি পরিষ্কার করা এড়াতে হবে। মাথা ঘেমে থাকলে বা জট লেগে গেলে ‘ফ্রিজ (frizz) কন্ট্রোলিং’ প্রসাধনী ব্যবহার করতে হবে।