জীবনে খুশি থাকার জন্যে অনেক বড় কোনো বিষয় লাগে না। ছোট ছোট বিষয়ের মধ্য দিয়ে জীবন নিয়ে আনন্দে থাকা যায়।
Published : 18 Jul 2016, 03:22 PM
দৈনন্দিন জীবন-যাপনে আমরা প্রায়ই জীবনকে জটিল করে ফেলি। অথচ বিশেষজ্ঞরা বলেন, জীবনে খুশি থাকা খুব কঠিন কিছু নয়।
লাইফস্টাইলবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট জানিয়েছে কীভাবে ছোট ছোট ঘটনার মধ্যে দিয়ে দিনটিকে আনন্দদায়ক এবং সুন্দর করা যায়।
একটি চমক: হয়ত কোনো পুরাতন প্রিয় নাটক অথবা পছন্দের কোনো খাবার, হতে পারে খুব ছোট একটা উপহার— ‘সারপ্রাইজ’ পেলে যে কেউ খুশি হবেই। বস্তুটা যতই ছোট হোক, আকস্মিক পাওয়া যে কোনো কিছু দিনকে সুন্দর করে দেয়।
পুরাতন বন্ধুর বার্তা: দিনে যতগুলো ঘটনা ঘটতে পারে তার মধ্যে বন্ধুর একটি বার্তা সবচেয়ে বেশি আনন্দদায়ক হতে পারে। যখন সময় খুব খারাপ যায় তখন স্কুল বা কলেজ জীবনের একজন বন্ধুর থেকে পাওয়া ছোট্ট বার্তা এক লহমায় সব উড়িয়ে দেয়।
পছন্দের খাওয়া: খুব কঠিন কাজের মাঝে এক কাপ গরম ধোয়া ওঠা কফি বা এক গ্লাস ঠাণ্ডা শরবত প্রাণকে একদম শীতল করে দেয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই মন ভালো করা খাবারগুলো খুব সামান্য হয় যেমন- ফুচকা বা চটপটি, সাধারণ কোনো দোকানের তেহেরি অথবা ছোট একটা চকলেট বার।
মূল্য ছাড়: যারা শপিং করতে ভালোবাসেন অথবা যারা কেনাকাটার আগে বেশি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জিনিস দেখেন তাদের জন্য আনন্দের একটা বিশাল উৎস হচ্ছে মূল্যছাড়। কেউ যদি কেনাকাটা মোটেই উপভোগ নাও করেন তিনিও বড় একটা মূল্যছাড়ের আনন্দ থেকে নিজেকে বঞ্চিত রাখতেই পারেন না।
পুরাতন পোশাক গায়ে লাগা: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাজের চাপ এবং বদলে যাওয়া শরীরবৃত্তীয় কারণে ওজন বেড়ে যাওয়া বা জামা আঁটসাঁট হয়ে যাওয়া খুব স্বাভাবিক ঘটনা। মোটা হয়ে যাওয়ার সবচেয়ে খারাপ প্রভাব হচ্ছে পছন্দের অনেক পোশাকই আর পরা যায় না। সেই পোশাকগুলো যদি আবার গায়ে ঠিকঠাক লাগে তবে যে আনন্দ হয় তার কোনো সীমাই নেই। তাই মন ভালো করার জন্য হলেও ওজন কমানোর বিষয়ে মন দেওয়াই যায়।
ছবি: রয়টার্স।