রিসোর্টে ঈদের ছুটি

ঢাকার আশপাশে কটাদিন বেড়িয়ে আরাম করতে চাইলে যেতে পারেন এসব অবসরবিনোদন কেন্দ্রে।

মুস্তাফিজ মামুনবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 July 2016, 12:30 PM
Updated : 1 July 2016, 01:30 PM

মেঘমাটি ভিলেজ

মেঘমাটি ভিলেজ রিসোর্ট

ব্যস্ত যান্ত্রিক জীবন থেকে কিছুটা সময় প্রকৃতির সান্নিধ্যে কাটানোর জন্য ময়মনসিংহের ভালুকায় আছে মেঘমাটি ভিলেজ রিসোর্ট। এ জায়গায় গেলে নামের স্বার্থকতা খুঁজে পাবেন যে কেউ। বিশাল এলাকাজুড়ে এ রিসোর্টের আছে নানান আয়োজন।

মেঘ মাটিতে আছে আধুনিক মানের একটি দ্বিতল ভিলার সঙ্গে চমৎকার সুইমিং পুল। এখানকার গাছে ঝুলানো আছে নানান দোলনা। এছাড়া পানির উপরেও আছে কয়েকটি আধুনিক মানের কটেজ। এছাড়া সবুজে মোড়ানো বিশাল মাঠ, মাঠের চারপাশে আছে নানান ফলের বাগান।

পরিবারিক অবকাশ যাপনের জন্য মেঘমাটির আছে ‘ফ্যামিলি ডে আউট’ নামে একটি বিশেষ প্যাকেজ। সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা মিনিট পর্যন্ত ছয় জনের এ প্যাকেজে ঢাকা থেকে রিসোর্টে যাতায়াত, সকালে ও দুপুরের খাবার, বিকেলের নাস্তাসহ দিনভর মেঘমাটির গ্রামীণ পরিবেশে প্রাণবন্ত সময় কাটানো। যোগাযোগ ০১৬১৩৫৫৫৯৫৩, ০১৯১১৭৭১১৫৫।

জল ও জঙ্গলের কাব্য

জল ও জঙ্গলের কাব্য

টংগীর পুবাইলে প্রকৃতির সান্নিধ্যে কিছুটা সময় কাটানোর জন্য আছে জল ও জঙ্গলের কাব্য। সবুজ প্রকৃতির মাঝে প্রায় ৯০ বিঘা জমির ওপর গড়ে ওঠা জল ও জঙ্গলের কাব্যে আছে কিছু কটেজ। জমিয়ে আড্ডা দেওয়ার জন্য পানির উপরে আছে মাচান। বিলে ঘুরে বেড়ানোর জন্য আছে নৌকার ব্যবস্থা। এছাড়া এখানকার প্রধান আকর্ষণ, নানান পদের গ্রামীণ খাবার। যোগাযোগ ০১৭৯২৯২৯৭২৭, ০১৯১৯৭৮২২৪৫

নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্ট: গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার রাজবাড়ি এলকায় শিল্পীদম্পতি তৌকির-বিপাশা গড়ে তুলেছেন নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্ট। প্রায় ২৫ বিঘার জায়গাজুড়ে তৈরি এই অবসর যাপনকেন্দ্রে আছে দিঘি, কৃত্রিম ঝরনা, সভাকক্ষ, সুইমিংপুলসহ নানান সুবিধা। যোগাযোগ ০২-৯৮৩৫১৭৩, ০১১৯২১৫০৫৬৩, ০১৭৭১৭৯৯৪১০

উৎসব পিকনিক স্পট ও রিসোর্ট: এর অবস্থান গাজীপুরের হোতাপাড়ায়। এখানে বেশ বড়সড় জায়গাজুড়ে আছে বনভোজন করার মতো সব ব্যবস্থা। উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ হল- ‘ট্রি হাউজ’। গাছের মাথায় মজবুত করে তৈরি এ বাড়িতে চড়ে বসে জমিয়ে আড্ডা দেওয়া যায়।

আনন্দপার্ক রিসোর্ট

ঢাকা থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে ঢাকা ময়মনসিংহ সড়কের হোতাপাড়ার কাছেই এ বনভোজন কেন্দ্র। ছয়শ জনের এক সঙ্গে বনভোজনের সব ব্যবস্থা আছে এখানে। ১৫ এপ্রিল থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত ছোট পরিসরের বনভোজন ও অবকাশ যাপনে পাওয়া যাবে বিশেষ ছাড়। যোগাযোগ ০১৭১৩২৬০৪৭১, ০২৮৬২৬৩৭৬।

ছুটি রিসোর্ট: ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান ঘেঁষে প্রায় ৫০ বিঘা জায়গাজুড়ে গাজীপুরে সুকুন্দি গ্রামেআছে ছুটি রিসোর্ট। গ্রামীণ আবহে অবকাশ যাপনের জন্য উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে এ রিরিসোর্ট। যোগাযোগ- ০১৭৭৭১১৪৪৮৮, ১৭৭৭১১৪৪৯৯

রাঙ্গামাটি ওয়াটারফ্রন্ট রিসোর্ট: গাজিপুরের শফিপুরে আছে আধুনিক এই রিসোর্ট। সবুজ প্রকৃতির মাঝে এখানে আছে আধুনিক কটেজ, সুইমিং পুল, বনভোজন কেন্দ্র, সভাকক্ষ, রেস্তোরাঁসহ নানান সুবিধা। এছাড়া এখানে আসা অতিথিরা পাবেন মাছ ধরা ও লেকে নৌ ভ্রমণেরও সুযোগ। জায়গাটিতে একসঙ্গে দুই হাজার জনের বনভোজনের সবরকম ব্যবস্থা আছে। এছাড়া শিশুদের বিনোদনের জন্য বেশ কিছু রাইডও আছে রাঙ্গামাটিতে। যোগাযোগ ০১৮১১৪১৪০৭৪, ০১৭১২১৭৭৭০।

হ্যাপি ডে ইন

দিপালি পিকনিক ও শুটিং স্পট:
গাজীপুরের হোতাপাড়ায়র হাটখোলা বাজারে প্রায় ছয় একর জমি নিয়ে প্রতিষ্ঠিত দিপালি পিকনিক ও শুটিং স্পট। মনোররম প্রাকৃতিক পরিবেশের মাঝে এখানে আছে সুইমিং পুল, পুকুর। যোগাযোগ- ০১৭৪৬২০৮৩৪৯।

আনন্দপার্ক রিসোর্ট: গাজীপুরের কালিয়াকৈরের সফিপুরে প্রায় ৬০ বিঘা জায়গাজুড়ে আছে আনন্দপার্ক রিসোর্ট। কটেজ ছাড়াও এখানে আছে বনভোজনের সবরকম ব্যবস্থা। এ রিসোর্টে আছে তিনটি স্বতন্ত্র বনভোজন কেন্দ্র, ছয়টি আধুনিক কটেজ, সুইমিং পুল ইত্যাদি। যোগাযোগ ০২ ৯১২৫৭৭৮, ০১৭৪৩৮৩৮১২৩।

আরশিনগর হলিডে রিসোর্ট: গাজীপুরের ভাওয়াল এলাকায় অবস্থিত বনভোজন কেন্দ্র ও রিসোর্ট। ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের পাশে এ রিসোর্টে আছে আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা। যোগাযোগ ০২ ৯৩৪৪৮৮৯, ০১৭৩২৩৫৪০০৭, ০১৯২৩১১৭০৫৬

হ্যাপি ডে ইনন: গাজীপুরের ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের বিপরীত পাশে এটি একটি মূলত বনভোজন কেন্দ্র। যোগাযোগ ০১৯৩৯০৪৭৫৮৬-৮।

নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্ট

অরণ্যবাস বনভোজন কেন্দ্র:
গাজীপুরের পুবাইলে বিলাসারা গ্রামে বনভোজন কেন্দ্র অরণ্যবাস। যোগাযোগ ০১৭১১৪৭৭৪৬৮।

হাসনাহেনা পিকনিক স্পট: টঙ্গী থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে গাজীপুরের পুবাইল কলেজগেটে অবস্থিত হাসনাহেনা পিকনিক স্পট। পারিবারিক বনভোজনের জন্য এটি একটি আদর্শ জায়গা। যোগাযোগ- ০১১৯৯৮৭৫৫৭৬, ০১৯১১৪৯৫১২৩।

ড্রিম স্কয়ার: গাজীপুরের মাওনায় ১২০ বিঘা জমির ওপর নির্মিত রিসোর্ট। নানান প্রজাতির ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের সমাহার আছে যায়গাটিতে। গ্রাম বাংলার নানান নিদর্শনও দেখা যাবে এখানে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ হল: তেলের ঘানি, গরুর খামার, মাছ চাষ, বায়োগ্যাস প্লান্ট ইত্যাদি। যোগাযোগ ০১৭৫৫৬০৩৩১০, ০১৭৫৫৬০৩৩১১।

অঙ্গনা: গাজীপুরের কাপাসিয়ায় সূর্যনারায়ণপুর গ্রামে প্রায় ১৮ বিঘা জায়গাজুড়ে লালমাটির টিলাঘেরা যায়গায় এ রিসোর্ট। এখানে আছে খেলার মাঠ, বড় বড় পুকুর আর জলাশয়। সুইমিং পুলও আছে অঙ্গনায়। এছাড়া এখানকার ডিয়ার পার্কে আছে বেশ কিছু চিত্রা হরিণ। যোগাযোগ- ০১৭১১৫২৭৩৭৩, ০১৭১১১৮২৬২৬।

সোহাগপল্লী

সোহাগপল্লী:
১১ একর সবুজে ঘেরা জায়গাজুড়ে এ রিসোর্টের প্রধান আকর্ষণ কৃত্রিম লেকের উপর ঝুলন্ত সাঁকো। লেকের স্বচ্ছ পানিতে নানা রকম মাছও আছে। আছে কয়েকটি ভালো মানের কটেজ। যোগাযোগ ০১৭১২০৪৯৯০৩-৪, ০১৬১২০৪৯৯০৩।

সাবাহ গার্ডেন: গাজীপুরের বাঘারবাজারে প্রায় ৩৬ বিঘা জায়গাজুড়ে সাবাহ গার্ডেন রিসোর্ট। এ রিসোর্টে নানান গাছপালার মাঝে আছে মনীষীদের প্রতিকৃতি। এছাড়া একটি পাঠাগারও আছে এ রিসোর্টে। যোগাযেগা ০২-৫৫০৩৫১৯৪, ০১৭১১৮৭৩৮৯৫।

সী গাল: গাজীপুরের মাওনা এলাকার সিংগারদিঘি গ্রামে প্রায় ৪২ বিঘা জমির ওপর নির্মিত এই জায়গা দেশি-বিদেশি নানান গাছে শোভিত। আছে ১৮টি কটেজ। যোগাযোগ ০১৭৩২৮৬৬৮৬৬, ০১৭১১০৫৭৪৮৫।

সিজি ফিশিং রিসোর্ট: গাজীপুরের কালিগঞ্জে বড় নগর বাস স্টেশন থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে এ রিসোর্টের মূল বৈশিষ্ট্য অতিথিরা এখানে মাছ ধরার সুযোগ পাবেন। এছাড়াও এখানে ছোট ও বড়দের আলাদা সুইমিং পুল আছে। পুকুরে নৌ ভ্রমণও করতে পারবেন অতিথিরা। যোগাযোগ-০১৭১৭৩৭৪৭০৪০, ১৮৩০১৬৬৫১১।

পিএসসিসি

গুলবাগিচা:
সফিপুর আনসার একাডেমির কাছে গুলবাগিচা পিকনিক ও শুটিং স্পট। প্রায় ১৫ বিঘা জায়গার উপরে বিস্তৃত এ পাঁচটি কটেজ। ছোট লেকে প্যাডেল বোড চালানোর সুযোগ আছে এখানে। এছাড়া নানা রকম পাখিও আছে এখানকার খাচায়। যোগাযোগ ০১৭১৬৬৩৩৫৬৬, ০১৭৩৩১৬৭৪১৩।

পিএসসিসি রিসোর্ট: গাজীপুরের ভাদুনে আছে পুবাইল সোশিও কালচারাল সেন্টার বা পিএসসিসি। বনভোজন ও অবকাশ যাপনের নানান ব্যবস্থা আছে। সবুজে ঢাকা বিস্তৃত এলাকাজুড়ে এ রিসোর্টে আছে লেক, খেলার মাঠ, খোলা প্রান্তর। যোগাযোগ ০১৭৩০৭১০৩৪১, ০১৭০৩২৩৪৫৮৩।