দৈনন্দিন কাজের মাধ্যমে সবল থাকতে

আলাদা করে শারীরিক পরিশ্রমের সময় কেউ বের না করতে পারলে অথবা খাওয়াও মেপে খাতে না পারলে কোনো সমস্যা নেই। দৈনন্দিন কাজগুলোই একটু বুঝে-শুনে করলে ‘ফিট’ থাকা সম্ভব।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 June 2016, 11:05 AM
Updated : 17 June 2016, 11:06 AM

যারা ব্যায়াম না করে এবং খাবার নিয়ন্ত্রণ না করেও ফিট থাকতে চান তাদের ভাবনার কিছু নেই।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে জানানো হয়, ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের গবেষকরা গবেষণা করে দেখেছেন- বর্তমানে মানুষের ওজন বৃদ্ধির প্রবণতার কারণ খাদ্য বা ব্যায়ামের অসামঞ্জস্যতা নয় বরং মানুষের জীবনে অত্যধিক যন্ত্র নির্ভরতা এবং দৈনন্দিন কাজ কমিয়ে দেওয়া।

সহজভাবে বলতে গেলে, ‘জিমে’ যাওয়া আর স্বাস্থ্যকর খাওয়ায় যদি বিরক্ত হয়ে থাকেন তবে এগুলো বাদ দিয়েও ‘ফিট’ থাকা যাবে।  

* দাঁত মাজার সময় শুধুই দাঁড়িয়ে না থেকে ‘স্কোয়াট’ পজিশনে দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন। এটি একটি ব্যায়ামের কৌশল যেখানে চেয়ারে বসার ভঙ্গি করে দেয়ালের সঙ্গে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। পায়ের হাঁটু ৯০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে থাকে এবং শরীর থেকে পা ১৮ ইঞ্চি সামনের দিকে থাক। এই ব্যায়াম দিনে দুইবার দাঁত মাজার সময় করতে পারেন। প্রতিবার স্কোয়াট করে অন্ততপক্ষে ৬০ সেকেন্ড দাঁড়িয়ে থাকতে হবে।

* পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো মানেই রেস্তেরাঁয় খাওয়া কিংবা হলে বা ঘরে বসে ছবি দেখা নয়। পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য ধারে কাছের কোনো পার্কে বেড়িয়ে পড়াও হতে পারে আকর্ষণীয় উপায়। একসঙ্গে পাল্লা দিয়ে সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা, নৌকা চালানো, দৌড়ানোর মতো কাজগুলোও করা যেতে পারে। এগুলো শেষে যখন সত্যিই ক্লান্তি ভর করবে আর ঘরে থাকতে মন চাইবে- তখন দাবা, মনোপলি, লুডুর মতো সত্যিকার বোর্ডে খেলা যেতে পারে যেখানে একসঙ্গে অংশ নেওয়া যায় এবং বুদ্ধির সঙ্গে হাত পায়েরও কিছুটা নড়াচড়া হয়। কেউ যদি  ভিডিও গেম খেলতেই চান তবে এমন গেইম বেছে নিতে পারেন যেটা শারীরিক সক্ষমতার বিষয়ে অন্তত একটা অনুপ্রেরণা যোগায়।

* অফিসে, শপিংয়ে অথবা নিছকই বেড়াতে বের হলে গাড়ি থেকে একটু আগে নামতে পারেন। বাস ব্যবহারকারীরা এক স্টপেজ আগে নেমে বাকিটা পথ হেঁটে যাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। এতে দুটি লাভ হবে। যানজটের মধ্যে খানিকটা সময় বাঁচবে আর কিছুটা শারীরিক পরিশ্রম হবে। লিফট দিয়ে ওঠার পথেও একইভাবে কয়েক তলা আগে নেমে গিয়ে হেঁটে ওঠা যায়। এটি খুবই কার্যকর একটি প্রক্রিয়া।

* গাড়িতে বসে থাকা অবস্থায় শুধুই বসে থেকে সময় নষ্ট না করে সামান্য ব্যায়াম করা যায়। কান, ঘাড়, এবং পশ্চাৎ অংশকে একটি সরল রেখায় রেখে বসতে হবে। এভাবে বসে ঘাড় আলগা করে পেছনের দিকে ঠেলে দিতে হবে, ১৫ সেকেন্ড রেখে আবার ছেড়ে দিতে হবে।

* সহকর্মীদের সঙ্গে মিটিং হাঁটতে হাঁটতে করা যায়। সবসময় কাগজ কলম নিয়ে গম্ভীর মুখে বসে নোট নিয়ে মিটিং না করলেও চলে। হাঁটতে হাঁটতে কখনও কখনও দারুণ কিছু বুদ্ধিও বের হয়ে যেতে পারে।

* ফোনে কথা বলার সময় এক জায়গায় না বসে থেকে হেঁটে হেঁটে কথা বলা যায়। এতেও খানিকটা শারীরিক পরিশ্রম হয়।

* টেলিভিশনে খুব প্রিয় কোনো অনুষ্ঠান রয়েছে যেটা কিছুতেই মিস করা সম্ভব নয়? কোনো সমস্যা না। সেই অনুষ্ঠানের মধ্যে যখন বিজ্ঞাপন বিরতি হয় তখন প্রতিটা বিরতিতে একটা ব্যায়াম করেই ফেলা যায়। প্রতিটি বিরতি যদি তিন মিনিটের হয় তবে পুরো অনুষ্ঠানের ফাঁক ফোঁকরে কম করে হলেও ১০ মিনিটের ব্যায়াম হয়ে যায়। একদিনের জন্য এই বা কম কী?