পায়ের সমস্যায় আরাম পেতে

ব্যস্ত জীবনযাত্রায় শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় পা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কাই বেশি। তাই পায়ের জন্য চাই বাড়তি যত্ন।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 June 2016, 11:52 AM
Updated : 9 June 2016, 11:55 AM

অস্থি ও শল্য চিকিৎসকদের মতে, উঁচু হিল ও ভুল মাপের জুতা আর্থ্রাইটিস, পিঠ ব্যথা, গোড়ালি মচকানো, হাঁটু ব্যথা ইত্যাদির কারণ।

সামনে সরু এমন জুতা পরায় পায়ের আঙ্গুল ব্যথা হয়ে যেতে পারে। গবেষকদের মতে, দীর্ঘক্ষণ হিল জুতা পরে থাকার সঙ্গে হাঁটুতে ‘অস্টিওআর্থ্রাইটিস’ হওয়ার গভীর সম্পর্ক রয়েছে।

চিকিৎসকদের পরামর্শ অবলম্বনে স্বাস্থ্যবিষয়ক এক ওয়েবসাইট জানিয়েছে পায়ের জটিলতা এড়ানোর পদ্ধতি।

সারাদিন হিল জুতা পরে থাকা যাবে না। এক্ষেত্রে অফিসে একজোড়া সমান তলার জুতা বা স্যান্ডেল রাখতে হবে। জুতার ভেতরের অংশ বেশি শক্ত হলে বাড়তি শুকতলা ব্যবহার করতে পারেন।

পুরোপুরি সমান তলার জুতা পরাও উচিত নয়। এক বা আধা ইঞ্চি উঁচু ‍হিল পায়ের জন্য ভালা। আর উঁচু হিলের জুতা পরতে হলে মোটা হিলের জুতা পরা উচিত। ‘স্টিলেটোস’ বা পেন্সিল হিলের জুতা পায়ের জন্য সবচাইতে বেশি ক্ষতিকর।

জুতার সামনের অংশে পায়ের আঙ্গুলের পর কিছু ফাঁকা জায়গা থাকা ভালো। ‘স্লিপ অন’ জুতাগুলো খুলে যেতে চায়, আর তা রোধ করতে পরিধাণকারী নিজের অজান্তেই পায়ের আঙ্গুলের উপর অতিরিক্ত চাপ দেন। তাই উপরে ফিতা বাঁধা বা পেছনে বেল্ট আছে এমন জুতা পরা ভালো।

পেন্সিল হিলের জুতা পায়ের জন্য সবচাইতে বেশি ক্ষতিকর। ছবি: রয়টার্স।

ব্যবহারের পর জুতায় বাতাস পৌঁছানোর সুযোগ দিতে হবে। ব্যবহৃত মোজা না ধুয়ে ব্যবহার করা যাবেই না।

গর্ভবতীদের হিল পরা একেবারোই অনুচিত। পরতে হবে নরম মোটা তলার জুতা।

জুতার কেনার সবচেয়ে ভালো সময় সন্ধ্যাবেলা। কারণ সারাদিনের হাঁটাহাঁটিতে পা কিছুটা ফুলে ওঠে। কেনার আগে নতুন ‍জুতা পরে কিছুক্ষণ হেঁটে পরখ করে নিতে হবে।

পায়ের যত্ন: পায়ে প্রদাহ এড়াতে অ্যান্টিফাঙ্গাল পাউডার বা অ্যান্টিস্পিরান্ট ব্যবহার করতে পারেন। পায়ের দুর্গন্ধ এড়াতে পানি ও ভিনিগারের মিশ্রণে পা ডুবিয়ে রাখতে পারেন। পায়ের আর্দ্রতা যথাসম্ভব কম রাখতে হবে। আর ডায়বেটিস থাকলে পায়ের চাই বিশেষ যত্ন।