সূর্যের তাপ, ‘স্টাইলিং’ পণ্যের ব্যবহার, এসির ঠাণ্ডা বাতাস ইত্যাদি কারণে চুল শুষ্ক ও প্রাণহীন হয়ে যায়। তাই চুলের জন্য প্রয়োজন বাড়তি পুষ্টি। যাতে হারানো আর্দ্রতা ফিরে আসে।
Published : 09 Jun 2016, 04:36 PM
রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই সমস্যা দূর করার এবং চুলের নমনীয়তা ফিরিয়ে আনার কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি উল্লেখ করা হয়।
চুলের জন্য ময়েশ্চারাইজার: প্রাকৃতিক ভাবেই শুষ্ক চুল আর ‘স্টাইলিং টুলস’ ব্যবহারের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত চুলের মধ্যে কিছু তফাত রয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত চুলের যত্নে ময়েশ্চারাইজার সমৃদ্ধ শ্যাম্পু ও কন্ডিশনারই যথেষ্ঠ।
তবে দীর্ঘ দিনের অযত্ন বা বিভিন্ন কারণে চুল শুষ্ক হয়ে গেলে তার জন্য বাড়তি যত্ন প্রয়োজন। এধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে চুলে অতিরিক্ত কন্ডিশনার ব্যবহারের ফলে চুল উল্টা আরও প্রাণহীন হয়ে যায়।
শুষ্ক চুলের সমস্যায় পরিমাণ মতো নারিকেল দুধ মাথার ত্বক বা চুলের গোড়া এড়িয়ে মাখিয়ে রাখতে হবে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন যেন চুল পুষ্টিগুণ শুষে নিতে পারে। এতে চুলের স্বাস্থ্য পুনর্গঠিত হয় এবং উজ্জ্বলতা ফিরে আসে।
ভিনিগার ও অলিভ অয়েল: চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখার পাশাপাশি ভালোভাবে পরিষ্কার করতে সিডার ভিনিগার বেশ উপকারী। শ্যাম্পুর বদলে চুল পরিষ্কার রাখতে ভিনিগার ব্যবহার করা যায়। দূষণ ও চুলে জমে থাকা 'স্টাইলিং প্রোডাক্ট'য়ের বাড়তি অংশ ধুয়ে ফেলতে ভিনিগার বেশ কার্যকর। এছাড়া চুলের নমনীয়তা ধরে রাখতে ঘরোয়া কন্ডিশনার তৈরি করে নেওয়া যেতে পারে। এ জন্য লাগবে এক চামচ জলপাই তেল ও খানিকটা টক দই। এই দুটি উপাদান মিশিয়ে সাধারণ কন্ডিশনারের মতো ব্যবহার করুন।
ফল দিয়ে কেশচর্চা: তাজা লেবু ও আপেলের রস দিয়ে ধুল চুল ঝলমলে রাখতে সাহায্য করে। শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহারের পর দুই টেবিল-চামচ লেবুর রসের সঙ্গে এক টেবিল-চামচ আপেলের রস মিশিয়ে চুল ভিজিয়ে নিন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে চুল ধুয়ে ফেললেই পার্থক্য চোখে পড়বে।
চুলের যত্নে বিয়ার: চুল মজবুত ও লম্বা করতে বিয়ার বেশ উপকারী। চুলের ঘনত্বও বাড়ায় এই পানীয়। চিনি ও প্রোটিনের সঠিক মিশ্রণ রয়েছে বিয়ারে। তাই কোমল রাখার পাশাপাশি চুলের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করে। তবে অবশ্যই অ্যালকোহল বিহীন বিয়ার বেছে নিতে হবে। এর সঙ্গে অর্ধেক শ্যাম্পু মিশিয়ে চুলে ধুয়ে ফেলতে হবে।
দুধ ও ডিম: সপ্তাহে একবার দুধ ও ডিমের মিশ্রণ চুলে ব্যবহার করলে হারানো পুষ্টি ফিরে পাওয়া যাবে। দুই থেকে তিন টেবিল-চামচ দই ও একটি ডিম ভালোভাবে মিশিয়ে, মিশ্রণটি চুলে ও গোড়ায় ভালোভাবে মেখে নিতে হবে। তারপর গরম পানিতে ভেজানো তোয়ালে দিয়ে চুল পেঁচিয়ে রাখতে হবে এক ঘণ্টা। এই মিশ্রণ ব্যবহারে চুলের প্রোটিনের অভাব পূরণ হবে।
প্রতীকী মডেল: লারা লোটাস।