সুখী জীবন পেতে

জীবনের একটি পর্যায়ে এসে আমরা সবাই পেছন ফিরে তাকাই। ভাবি, অন্য কোনো সিদ্ধান্ত নিলে জীবনটা আজ হয়ত অন্যরকম হতে পারত।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 June 2016, 09:58 AM
Updated : 6 June 2016, 10:03 AM

ব্যক্তিগত সম্পর্ক, বন্ধুমহল, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ইত্যাদি নিয়ে কমবেশি আক্ষেপ সবার জীবনেই আছে। তবে অতীতের কথা চিন্তা করে ভবিষ্যতে হাল ছেড়ে দেওয়াটা বোকামি।

জীবনযাপন-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক জরীপে দেখা গেছে, ত্রিশের পরে এসে অনেকেই আক্ষেপ করেন বিশেষ কিছু না করা নিয়ে।

তবে মনে রাখতে হবে, যা হবার তা হয়ে গেছে। তাই পুরানো কাসুন্দি না ঘেটে জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতে হবে।

বেড়ানো: কর্মজীবনে এসে আমরা এতটাই ব্যস্ত হয়ে যাই যে, ছুটি কাটাতেই ভুলে যাই। আর এই ছুটি কাটানো মানে সাপ্তাহিক ছুটি নয়, লম্বা ছুটি নিয়ে সব কাজের চিন্তা ঝেড়ে ফেলে কোথাও থেকে ঘুরে আসা। বিশেষজ্ঞদের মতে, একা হোক কিংবা বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের সঙ্গে, বছরে একবার এরকম একটি ছুটি কাটানো কাজের স্পৃহা ধরে রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

নিজের প্রতি যত্নবান হওয়া: বর্তমান যুগে চিকিৎসা বিজ্ঞানের যেমন ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে, তেমনি এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মানসিক চাপ ও জীবনযাত্রার নানান বদভ্যাস-জনিত রোগবালাই। জীবিকা অর্জন যতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেই জীবিকা উপভোগ করার জন্য শরীরের প্রতি যত্ন নেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। তাই জীবনে আনতে হবে শৃঙ্খলা, চাই নিয়মিত শরীরচর্চা, খেতে হবে স্বাস্থ্যকর খাবার, নিজের যত্ন নিতে হবে নিজেকেই।

শখ পূরণ: জীবনে এতটা ব্যস্ত কখনও হওয়া উচিত নয় যে, নিজের শখগুলোকে বিসর্জন দিতে হয়। শখ যাই হোক, এর জন্য সময় বের করতে হবে। নিজের পছন্দের কাজ করে কাটানো সময়টুকু জীবনে আনতে পারে লক্ষ্যণীয় পরিবর্তন।

সঞ্চয়: কর্মজীবনে এসে অর্থ জমানো ভালো অভ্যাস। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমান অনিশ্চয়তার যুগে বিপদের সময় জরুরি ভাবে খরচ করার মতো কিছু অর্থ আলাদা করে রাখা বুদ্ধিমানের কাজ।

ইন্সুরেন্স বা বীমা: ভবিষ্যত জীবনের নিশ্চয়তার পেতে জীবনবীমা করে রাখাটা জরুরি। তবে এই কাজের দায়ভার পরিবারের উপর ছেড়ে দিলে চলবে না, নিজেই তথ্য সংগ্রহ করে কাজটি করতে হবে।

সম্পর্ক সামলে রাখা: আশপাশের মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক ধরে রাখা জরুরি। সম্পর্কগুলো সামলে রাখতে হবে, তাদের পেছনে সময় দিতে হবে।

ছবি: রয়টার্স।