প্রতিদিনই কাজের তাগিদে ঘর থেকে বের হতে হয়। আর নিজেকে কিছুটা না গুছিয়ে তো আর কাজে যাওয়া যায় না। তবে গরমে বেশি মেইকআপ ব্যবহারও ঝক্কির। কারণ রোদের তাপ আর ঘামে মেইকআপ গলে পুরো মুখে ছড়িয়ে পরতে পারে।
রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে জানানো হয় মেইকআপ ব্যবহার করার পরও যেন দেখতে ‘স্বাভাবিক’ মনে হয় তেমনভাবে নিজেকে সাজানোর নামই হচ্ছে ‘নো মেইকআপ লুক’।
এরকম সাজের জন্য রয়েছে সাধারণ কিছু উপায়।
মুখের মেইকআপ: আগে ত্বক মেইকআপের জন্য প্রস্তুত করে নিতে হবে। ত্বকের আর্দ্রতার মাত্রা ঠিক রাখা সব থেকে বেশি জরুরি, এতে মেইকআপ সুন্দরভাবে মিশে যায় ও আলগা হয়ে থাকে না। প্রথমে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে এরপরই বিবি ক্রিম বা ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে হবে। আর ক্রিম বা ফাউন্ডেশন ত্বকে যেন ভালোভাবে ব্লেন্ড হয় সেদিকেও লক্ষ রাখতে হবে।
গালের সাজে ব্লাশন: এই গরমে ক্রিম বেইজ ব্লাশন বেছে নেওয়া উচিত, এতে তা দীর্ঘস্থায়ী হয়। আর এই আবহাওয়ায় উজ্জ্বল রং এড়িয়ে হালকা ব্লাশন বেছে নিতে হবে। যেমন, অ্যাপ্রিকোট বা কোরাল, হালকা গোলাপি ইত্যাদি রংগুলো বেছে নেওয়া যেতে পারে। বাড়তি উজ্জ্বলতা যুক্ত করতে ব্লাশনের উপর হালকা করে ব্রোঞ্জার বুলিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
ঠোঁটের জন্য লিপগ্লস: এই মৌসুমে লিপগ্লস বেশ ভালো মানায়। হালকা রংয়ের লিপলাইনার দিয়ে ঠোঁট এঁকে নিয়ে গোলাপি বা পিচ রংয়ের গ্লস ঠোঁটে বুলিয়ে নিতে পারেন। তবে গ্লস পছন্দ না হলে হালকা রংয়ের ম্যাট লিপস্টিকও ব্যবহার করা যায়।
আরও কিছু লক্ষণীয় বিষয়
- যাদের ত্বকে রংয়ের সামঞ্জস্যতা নেই, তাদের উচিত ফাউন্ডেশনের আগে ভালো কোনো কনসিলার ব্যবহার করে তা ঠিক করে নেওয়া।
- যাদের গায়ের রং বেশি ফর্সা, তারা ফাউন্ডেশন বা বিবি ক্রিম ব্যবহারের পর অবশ্যই হালকা করে ব্রোঞ্জার বুলিয়ে নেবেন।
- তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীরা অয়েল ফ্রি ফাউন্ডেশন ব্যবহার করবেন এবং এর উপর পাউডার বুলিয়ে সেট করে নেবেন। সঙ্গে বল্টিং পেপার বা টিস্যু পেপার রাখবেন। বল্টিং পেপার বিশেষভাবে তৈরি যা মেইকআপ নষ্ট না করে ত্বকের বাড়তি তেল শুষে নিতে সাহায্য করে।
ছবির প্রতীকী মডেল বিউটি ব্লগার- আসফি অনাদি।