ভারতের স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালের চিকিৎসকদের মতে, “হৃদযন্ত্র পুরোপুরি সুস্থ থাকলেও, অতিরিক্ত ব্যায়ামের কারণে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।”
বিশেষজ্ঞরা বলেন, “অনেকেই, বিশেষ করে মধ্য বয়সিরা অতিরিক্ত ব্যায়ামজনিত শারীরিক জটিলতার শিকার হন বেশি।”
‘ফোর্টিস এসকর্টস হার্টস ইনস্টিটিউট’য়ের চেয়ারম্যান ডা. অশোক সেথ বলেন, “আমার দেখা মাঝ বয়সি হার্ট অ্যাটাককের রোগীদের মধ্যে প্রায় ১০ শতাংশই ভারী শরীরচর্চার সঙ্গে জড়িত। অভ্যস্ত নয় এমন কেউ হঠাৎ করে ভারী শরীরচর্চা করলে রক্তচাপ অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়। ফলে হৃদপিণ্ডের উপর বাড়তি চাপ পড়ে। রক্ত ঘন হওয়া এবং জমাট বেঁধে রক্তনালী বন্ধ হয়ে যাওয়ার সঙ্গেও অতিরিক্ত শরীরচর্চার সম্পর্ক রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “শরীরচর্চার অসুবিধার চাইতে সুবিধাই বেশি। তবে অবশ্যই রয়েসয়ে।”
প্রশিক্ষকের পরামর্শ ও তত্বাবধান ছাড়া ব্যায়াম করা থেকে হার্ট অ্যাটাকের পাশপাশি হাড় ও মাংসপেশির জোড়ে ব্যথা, বিশেষত হাটু ও পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা হতে পারে। কমে যেতে পারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও।
ভারতের সাফদারযাং স্পোর্টস ইনজুরি সেন্টারের পরিচালক ডা. দিপক চৌধুরি বলেন, “শরীরের সবচাইতে বেশি ওজন বহনকারী জোড় দুটি হল হাঁটু আর গোড়ালি। তাই অভ্যস্ত হওয়ার আগেই বেশি পরিশ্রমের ব্যায়াম যেমন জগিং করা শুরু করেন, তখন এই জোড়গুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমরা এমন অনেক রোগী পাই।”
স্বাভাবিক খাবার বাদ দিয়ে ‘প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট’ খাওয়া, দ্রুত ওজন কমাতে ইচ্ছুকদের এই অভ্যাসটি বৃক্কে প্রদাহ সৃষ্টির জন্য দায়ী।
ভারতের ফোর্টিস সি-ডক’য়ের চেয়ারম্যান ডা. আনুপ মিশরা বলেন, “কিছুদিন আগে আমরা শরীরের পানি জমে যাওয়ার একজন রোগী পাই। পরীক্ষা করে তার মুত্রে ‘৩+ প্রোটিন’ পাওয়া যায়। পরে রোগীর খাদ্যাভ্যাস বিশ্লেষণ করে জানা যায়, তিনি ওজন কমানোর জন্য প্রতিদিন খাবার ও সাপ্লিমেন্ট মিলিয়ে ১ হাজার ২শ’ গ্রাম আমিষ গ্রহণ করতেন।”
তাই যে কোনো ব্যায়ামের আগে অবশ্যই প্রশিক্ষক ও ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে শুরু করা উচিত।