ত্বকের বিভিন্ন দাগ সৌন্দর্য হানীর থেকেও বেশি চিন্তার কারণ আছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, দেহে বিভিন্ন সমস্যা জানান দেওয়ার নিজস্ব উপায় হচ্ছে চামড়ার দাগ।
কোন জায়গায় কেমন দাগ পড়লে সেটা কোন সমস্যার লক্ষণ তাই জানিয়েছে ওয়েবসাইটটি।
দুই ভ্রুর মাঝখানে অথবা নাকের উপরে: নিউ ইয়র্কের এমটি সিনাই হাসপাতালের কসমেটিক এবং ক্লিনিকল রিসার্চের পরিচালক ড. ইয়াশুয়া জাইখনার জানান, দুই ভ্রুর মধ্যে বা নাকের উপর দাগের অর্থ হচ্ছে, হয় আপনি বয়ঃসন্ধিকাল অতিক্রম করছেন অথবা আপনি খুব কাজের চাপে আছেন।
চাপের সঙ্গে সামঞ্জস্য করার জন্য শরীর অতিরিক্ত অ্যাড্রেনাল হরমোন তৈরি করে, যা ত্বকে অতিরিক্ত তেল উৎপাদনের কারণ হয়। ফলে ত্বকে ব্রণের জন্ম দেয় এবং এর দাগ রয়ে যায়।
ঠোঁটে: ঠোঁটের দাগের মূল কারণ অস্বাস্থ্যকর খাবার। অম্লীয় খাদ্যের উচ্ছ্বিষ্ট বা চর্বিযুক্ত খাবার মুখের ত্বকের লোমকূপ বন্ধ করে ফেলে।
অনেকেই খাবার খাওয়ার পরে ভালো করে ঠোঁট ধুয়ে ফেলেন না, এতেও ত্বকে তেল যোগ হয় এবং লোমকূপ বন্ধ হতে পারে।
গাল: গালে দাগ পড়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে পরিচ্ছন্নতা। অনেক সময় আমরা নিজেদের ত্বক পরিষ্কারের বিষয়ে যতটা গুরুত্ব দেই, হাত পরিষ্কারের বিষয়তে ততটা গুরুত্ব দেই না। নোংরা হাতে থাকা জীবাণু ত্বকে লাগে এবং তার দাগ রেখে যায়।
সারাক্ষণ হাত যেসব যন্ত্রপাতি স্পর্শ করে যেমন- মোবাইল, কিবোর্ড সেগুলোও নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। এভাবে ত্বকের দাগ থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব।
কান: কানে যে কোনো দাগের মূল কারণ পানির স্বল্পতা। এক্ষেত্রে সমাধান খুবই সহজ। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়ার মাধ্যমে দাগ থেকে দূরে থাকা যায়।
বাহুর উপরে: বাহুর উপরে রুক্ষ, ঘামাছির মতো দেখতে লালচে দাগ বংশগত ভাবেই অনেকের ত্বকে দেখা যায়। ত্বকের এই অবস্থাকে ‘কেরাটোসিস পিলারিস’ বলে।
ত্বকের লোম কোষে অতিরিক্ত কেরাটিন তৈরি হওয়ার কারণে এই দাগ পড়ার সমস্যা দেখা যায়।
যদিও পারিবারিক ত্বকীয় সমস্যা। তবে সাবান ব্যবহারের ফলে ত্বকে হওয়া রুক্ষতা এবং গরম পানির কারণে ত্বকের তেল ধুয়ে গিয়ে সমস্যাটা জটিল আকার ধারণ করে। এর থেকে রক্ষা পেতে, ময়েশ্চারাইজারযুক্ত সাবান এবং কুসুম গরম পানি ব্যবহার করতে হবে।
ছবি: রয়টার্স।