বিষণ্নতা কাটিয়ে ওঠার খাবার

শুধু শরীর নয়, মন ভালো রাখার জন্যও খেতে হবে সঠিক খাবার।

নিলয়বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 May 2016, 07:07 AM
Updated : 1 May 2016, 07:07 AM

মন খারাপ থেকে অনেকেই মিষ্টিজাতীয়, তৈলাক্ত বা নোনতা খাবারের দিকে ঝুঁকে পড়েন। এটা অস্বাভাবিক নয়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব খাবার শুধু অবস্থার অবনতি ঘটায়।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে বিষণ্নতা কাটিয়ে মন ও শরীর চাঙ্গা করে তোলার ক্ষেত্রে উপযোগী কিছু খাবারের বিষয় উল্লেখ করা হয়।

আখরোট: আখরোট আমিষ ও স্বাস্থ্যকর চর্বির চমৎকার উৎস। আখরোটে আরও আছে স্বাস্থ্যকর ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, যা সুস্থ মস্তিষ্কের জন্য প্রয়োজনীয়। তাছাড়া ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাসেও উপকারী।

তেলসমৃদ্ধ মাছ: বিশেষজ্ঞদের মতে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার তেলসমৃদ্ধ মাছ খাওয়া উচিত। কারণ মাছের তেলে থাকে স্বাস্থ্যকর ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। এছাড়া আমিষের যোগান দেয় এসব মাছ। এক্ষেত্রে খাবারের তালিকায় রাখা যেতে পারে বিভিন্ন দেশীয় ও সামুদ্রিক মাছ।

অপরিশোধিত শস্যজাতীয় খাবার: হতাশা ও মানসিক চাপ কাটাতে অনেকেই শর্করাজাতীয় খাবারের দিকে ঝুঁকে পড়েন। সুখবর হল, সঠিক শর্করা বেছে নিতে পারলে তা শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপকারই করবে। মিষ্টি আলু, বাদামি চালের ভাত, অপরিশোধিত আটার রুটি ইত্যাদি হতাশা কাটাতে সাহায্য করবে।

মাশরুম: বিষন্নতা প্রতিরোধে মাশরুম দুই কারণে উপকারী। প্রথমত, মাশরুম রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে এনে মানসিক অবস্থাকে স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে। দ্বিতীয়ত, মন চাঙ্গা করার হরমোন সেরোটোনিন উৎপন্ন হয় পাকস্থলীর স্নায়ুকোষ থেকেই। আর মাশরুম পাকস্থলীকে সুস্থ রাখতে ভূমিকা রাখে।

কম চর্বির দুগ্ধজাত খাবার: দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারে আছে প্রচুর ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি। এই দুই উপাদানই বিষণ্নতা প্রতিরোধে উপকারী। আর দুগ্ধজাত খাবার কম চর্বিযুক্ত হলে মুটিয়ে যাওয়ার ভয় নেই।

সবুজ চা: গ্রিন টি বা সবুজ চায়ে আছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা দেহকোষগুলো শরীরে উৎপন্ন হওয়া ক্ষতিকর ফ্রি র‌্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে। বিষণ্নতা প্রতিরোধে সবুজ চা উপকারী, কেননা সবুজ চায়ে আছে থিয়ানিন নামক অ্যামিনো এসিড, যা কেবল বিষন্নতাই নয়, মানসিক চাপও প্রতিরোধ করে।

হলুদ দিয়ে রান্না করা তরকারি: আবহমান বাংলায় মসলা হিসেবে হলুদের ব্যবহার নতুন করে বলার কিছু নেই। হলুদে রয়েছে বিশেষ কিছু উপাদান যা মানসিক অবস্থার উন্নতিতে সহায়তা করে। প্রদাহ দূর করতেও হিসেবেও এই মসলা উপকারী।

ছবি: রয়টার্স।