যে খাবারে ঝরবে মেদ

বাড়তি মেদ এড়িয়ে চলতে খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে অতিরিক্ত চিনি, পুষ্টিকর খাবার, নিয়ম মতো ঘুম, এবং ব্যায়াম। কিন্তু এসবের কার্যকারিতাকে বাড়িয়ে দিতে পারে কিছু খাবার।

নিলয়বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 April 2016, 09:52 AM
Updated : 3 June 2016, 01:34 PM

খাদ্য ও পুষ্টিবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে জানানো হয়, খাবারের রুচি নিয়ন্ত্রণ, ব্যথা হ্রাস, হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি, খাবারের প্রতি আগ্রহ কমিয়ে আনা ইত্যাদি বেশ কিছু অভ্যাস গঠনের মাধ্যমে শরীরের বাড়তি মেদ ঝরানোর প্রক্রিয়া কিছুটা দ্রুত করা সম্ভব।

পাশাপাশি গড়ে তুলতে হবে সঠিক খাদ্যাভ্যাস।

লেবুর রস: সকালে ঘুম থেকে উঠে কুসুম গরম পানির সঙ্গে লেবুর রসের উপকারিতা নতুন করে বলার কিছু নেই। প্রতিবেলা খাবারের আগে কয়েক চামচ লেবুর রসও রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

দারুচিনি: খাবার হজম প্রক্রিয়ার গতি কমিয়ে আনে এবং রক্তের শর্করা কমায়। ফলে পেট অনেকটা সময় ভরা থাকে।

এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা টাইপ-টু ডায়বেটিসে ভুগছেন তাদের রক্তে শর্করার মাত্রায় ভারসাম্য রক্ষায় কার্যকরি ভূমিকা পালন করে দারুচিনি। তাই মেদ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণেও এটি বেশ কার্যকর। প্রতিদিন মাত্র দেড় চা-চামচ তাজা দারুচিনিই যথেষ্ট। তাজা হওয়া জরুরি, কারণ সময়ের সঙ্গে দারুচিনির পলিফেনল ও অন্যান্য সক্রিয় উপাদানের মাত্রা কমতে থাকে।

লালমরিচ: ক্যালোরি পোড়াতে ও ক্ষুধা কমাতে সহায়ক। এটি যৌন চাহিদাবর্ধক সেরা প্রাকৃতিক খাবারের মধ্যে একটি। অন্যান্য ঝাল মরিচের থেকেও একই উপকারিতা পাওয়া যায়।

গবেষণায় দেখা গেছে, মরিচের ‘ক্যাপসাইসিন’ নামক উপাদান, যা মরিচের ঝাল হওয়ার কারণ, তা হজম প্রক্রিয়া গতিশীল করে এবং মেদ দহনে সহায়তা করে।

হলুদ: ওজন কমানোর পথে বিশাল বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে প্রদাহ। নানানরকমের পুষ্টি উপাদানে ভরপুর প্রদাহনাশক হিসেবে হলুদের জুড়ি নেই।

গবেষণায় দেখা গেছে, হলুদে আছে সারকিউমিন নামক উপাদান, যা স্থূলতা হ্রাস করে, সেই সঙ্গে বেশ কিছু অসুস্থতার নিরাময়েও সহায়ক। প্রতিদিনের খাবারে হলুদের ব্যবহার শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী।