ডায়েটের ছদ্মবেশী শত্রুরা

কম ক্যালরির খাবারের মাঝেও লুকিয়ে থাকতে পারে ওজন বাড়ানোর খাদ্যোপাদান।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 April 2016, 11:25 AM
Updated : 25 April 2016, 11:27 AM

ওজন কমানোর জন্য যখন কম ক্যালোরি যুক্ত খাবার বেছে নেওয়া হয় তখন সেগুলোর ছদ্মবেশ ধরে উচ্চ শর্করার কিছু খাবার সেই তালিকায় ঢুকে যায়।

একটি খাদ্য ও পুষ্টিবিষয়ক ওয়েবসাইটে এরকমই ছদ্মবেশী খাবার সম্পর্কে জানানো হয়।

ফলের স্বাদে দই: দই খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। আবার এতে ক্যালোরির পরিমাণ খুব কম। তবে সেটা হতে হবে একদম সাধারণ দই। যখনই সেটা কোনো ফলের স্বাদযুক্ত দই হবে তখনই সেটা চিন্তার বিষয়। কেননা এই দইগুলোতে প্রতি বাটিতে ১৯ গ্রাম অতিরিক্ত চিনি থাকে। এ চিনি এড়াতে ঘরে বানানো দই-ফলের মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন। এটা যেমন মজাদার তেমনি পুষ্টিকরও।

গ্রেনোলা বার: এই খাবার আমাদের দেশে খুব প্রচলিত না হলেও এখন ডায়েট-প্রেমীদের কাছে এই খাদ্যের কদর বাড়ছে। ‘গ্রেনোলা বার’ মূলত ওটস, পূর্ণ শস্যের চিড়া, বাদামি চিনি, শুকনা ফল এবং বাদামের মিশ্রণে তৈরি একটা ‘বার’। এগুলোর বিজ্ঞাপনে যতই স্বাস্থ্য রক্ষার বাণী থাকুক না কেনো, এতে ১০ গ্রামের মতো চিনি থাকে। কেউ যদি এই ‘বার’য়ের বিজ্ঞাপনে প্রলুব্ধ না হয়ে প্যাকেটের লেবেল পড়েন তাহলেই বিষয়টি বুঝতে পারবেন। এইসব ‘বার’ না খেয়ে সরল সাধারণ বালিতে ভাজা বাদাম খাওয়া অনেক ভালো।   

এনার্জি ড্রিংক: ডায়েটের সময় দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকার ফলে শরীর ঝিমিয়ে যায়। এইসময়ে এক চুমুক এনার্জি ড্রিংকস নিমিষেই সতেজ অনুভূতি জাগায়। তবে অনেকেই জানি না এই সতেজ করার শক্তিটা কোথা থেকে আসে। অধিকাংশ এনার্জি ড্রিংকে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। কিছু কিছু এনার্জি ড্রিংকের একটি ক্যান’য়ে ৭৫ গ্রামের মতো চিনি থাকে। এই চিনিই হঠাৎ করে শরীরে সতেজ ভাব আনে। আর অনাকাঙ্ক্ষিত ক্যালোরি যোগ করে।

বারবিকিউ সস: তেলে ভাজা মুরগির চেয়ে আগুনে ঝলসে খাওয়া মুরগি কম ক্যালরি ধারণ করে, তাই অনেকে ঝলসানো মুরগি খেয়ে স্বাস্থ্য রক্ষা করেন। এটা একটা ভালো সিদ্ধান্ত। তবে সমস্যা হয় যখন ঝলসানো মুরগির স্বাদ বাড়াতে এতে সামান্য বারবিকিউ সস যোগ করা হয়। কারণ প্রতি টেবিল-চামচ বারবিকিউ সসে ৭ গ্রাম চিনি থাকে।