যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শারীরিক গঠন

দৈনন্দির কিছু অভ্যাসের কারণে দিন দিন নষ্ট হতে থাকে আমাদের শারীরের স্বাভাবিক গঠন। এ বিষয়গুলোকে আমরা অনেকেই তেমন একটা গুরুত্ব দেই না, তবে সময় থাকতে ভুলগুলো ঠিক করে নেওয়া উচিত।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 April 2016, 05:57 AM
Updated : 19 April 2016, 05:57 AM

দৈহিক গঠন ঠিক রাখা দরকার। নতুবা হতে পারে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা। তাই কিছু সাধারণ বিষয় এবং দৈনন্দিন অভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে।

এমনই কিছু দিক উল্লেখ করা হয় লাইফস্টাইলবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে। সেই দিকগুলো এখানে তুলে ধরা হল।

উঁচু জুতা পরা: ফ্যাশন সচেতন নারীদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে থাকে উঁচু হিলের স্যান্ডেল বা জুতা। তবে প্রতিদিন হাই হিল পরার কারণে পিঠে ব্যথা হতে পারে।

যারা নিয়মিত হিল পরেন তাদের উচিত মাঝে মধ্যে হিল খুলে পা টানটান করে রাখা। বিশেষত যখন অফিস বা কোথাও বসে থাকেন তখন পা থেকে জুতা জোড়া খুলে রাখতে পারেন। ঘরে ফিরে হালকা ব্যয়াম করুন পায়ের। এছাড়াও দীর্ঘ সময় হাঁটার ক্ষেত্রে হাই হিল এড়িয়ে চলুন।

ভারী ব্যাগ: নিয়মিত বহনের কারণে পিঠে এবং ঘাড়ের ক্ষতি হয়। অনেকের ক্ষেত্রে ভারী ব্যাগ বহনের ফলে কাঁধের হাড়ে ফাটল ধরা বা বাঁকা হয়ে যাওয়ার সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে বেশি ভারী ব্যাগ বহনের ক্ষেত্রে অবশ্যই দুই কাঁধে ব্যাগ নেওয়া উচিত। এছাড়াও এমন ব্যাগ নিতে হবে যেটার দুপাশ থেকে আলাদা বেল্ট দিয়ে কোমরের সঙ্গে আটকে রাখা যায়, এতে শুধু কাঁধে নয় পুরো শরীরে ভার বন্টন হবে।

দীর্ঘ সময় বসে থাকা: বর্তমান যুগে শহুরে কাজ আর ব্যস্ততার যতই হোক সবই প্রায় বসে করতে হয়। যা আমাদের মেরুদণ্ডের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। দীর্ঘ সময় চেয়ারে বসে কম্পিউটার বা ডেস্কে কাজ করার ফলে ঘাড়ে এবং পিঠে ব্যথা হওয়া খুবই স্বাভাবিক সমস্যা।

এক্ষেত্রে কম্পিউটারে কাজ করার সময় সোজা হয়ে বসে পা জোড়া সামনে সমান ভাবে রেখে বসা উচিত। তবে একটানা বসে না থেকে কিছুক্ষণ পরপর বিরতি নিতে  হবে। খানিকটা নড়াচড়া এবং হাঁটাহাঁটি করাও সমস্যা এড়াতে সাহায্য করবে।

নড়াচড়া না করা: এক জায়গায় ঠাঁয় বসে না থেকে কাজের ফাঁকে কিছুটা নড়াচড়া করা উচিত। যদি ব্যস্ততার কারণে হাঁটাহাঁটির সুযোগ নাও হয় তবে ঘাড় এবং মাথা হাত দিয়ে মাঝেমধ্যে হালকা মালিশ করে নিন। এতে শিরাগুলোতে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পাবে। আর নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস গড়ে তোলা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

অতিরিক্ত মানসিক চাপ: সামাজিক, ব্যক্তিগত এবং কর্মক্ষেত্রেও অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও হতাশা শারীরিক গঠনের জন্য ক্ষতিকর। কারণ মানসিক চাপের কারণে বেশিরভাগ মানুষই খানিকটা ঝুঁকে চলেন। যা মোটেও স্বাভাবিক নয়। তাই যতটা সম্ভব মানসিক চাপ কমানোর চেষ্ট করা উচিত।

শারীরিক গঠনের পাশাপাশি মানসিক অবস্থা স্থিতিশীল রাখতে ব্যয়ামের কোনো বিকল্প নাই। তাছাড়া ঘাড়ে বা কাঁধে ব্যথার ক্ষেত্রেও পানির বোতল বা বেলুনি ঘুরিয়ে হালকা মালিশ করে নেওয়া যেতে পারে। শরীরের হাড় ও গঠন ঠিক রাখতে পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাসও গড়ে তুলতে হবে।

ছবি: রয়টার্স।