স্বাস্থ্যবিষয়ক এক ওয়েবসাইট পেটের চর্বি কমানোর সাতটি উপায় জানিয়েছে।
দীর্ঘক্ষন খালি পেটে না থাকা: হয়ত চোখ কুঁচকে তাকিয়ে আছেন অনেকেই। তবে তিন বেলা প্রধান খাবারের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস রক্তে শর্করার পরিমাণ কমিয়ে রাখে। ফলে নিয়ন্ত্রণে থাকে শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা। তাই নিয়ম মাফিক কিছু সময় পরপর হালকা খাবার খাওয়া উচিত।
খাবার ভালো করে চিবিয়ে খাওয়া: বলা হয়, এক কামড় খাবার কমপক্ষে ৩০ বার চিবিয়ে খেতে হয়। তাই বলে খাবেন, নাকি চাবানো গুনবেন? এক্ষেত্রে মনে রাখবেন মুখের ভেতর খাবার হালুয়াজাতীয় হয়ে যাওয়া পর্যন্ত চাবানো দরকার। মনে রাখতে হবে, হজম ক্রিয়া মুখ থেকেই শুরু হয়। তাই খাবার ভালো করে না চাবালে পাকস্থলীর উপর চাপ পড়বে বেশি।
খ্যাদ্যাভ্যাসে সতর্কতা: মেদহীন পেট পেতে দৌড়ানো, সাইকেল চালানো, হাঁটা ইত্যাদি কার্ডিও ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্যকর খাবারের উপর বেশি জোর দিতে হবে। ভারি ব্যায়ামের তুলনায় এই দুইটি বিষয়ে বেশি যত্নবান হতে হয়।
লবণ খাওয়া কমান: ভুঁড়ির পেছনে খ্যাদ্যাভ্যাসে অতিরিক্ত লবণ দায়ি। নিজের অজান্তেই হয়ত মুখরোচক খাবারগুলোর সঙ্গে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি লবণ খাচ্ছেন প্রতিদিন। এমনকি রান্নায় ব্যবহৃত লবণের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি দিতে হবে। খাবারের স্বাদ বাড়াতে গোল মরিচ ব্যবহার করতে পারেন।
খাবারের পরিমাণ: কী খাচ্ছেন সেদিকে যত্নবান হলেও হয়ত কতটুকু খাচ্ছেন সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে না। খাবারের পরিমাণ অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ছোট পাত্রে, ছোট কামড়ে খাবার খান। পেট ভরে খাবার খাওয়াও ঠিক নয়, খেতে হবে পরিমাণ মতো।
পানি পান: প্রতিদিন সাত থেকে আট গ্লাস পানি খাওয়া আবশ্যক। শরীরের আর্দ্রতার প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। শরীরের পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার রাখতে খালি পেটে গরম লেবুর সরবত বেশ উপকারী।