সময়ানুবর্তীতা, কাজের বিড়ম্বনা, ভবিষ্যত পরিকল্পনা ইত্যাদি সবকিছু মিলিয়ে কর্পোরেট জগৎটাকে ধরে নেওয়া হয় সবচাইতে বেশি মানসিক চাপগ্রস্ত স্থান।
তাই দৈনিক এই পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে প্রয়োজন মানসিক প্রস্তুতি। এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারে হাসি। কীভাবে? জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক এক ওয়েবসাইট।
কর্মদক্ষতা বাড়ায়: সারাদিন বিনোদন থেকে বর্জিত খাকা বিষণ্নতার কারণ পারে, আর অফিসে হলে বিষণ্নতা আরও বাড়বে। হাসির কারণে শরীরে ‘এন্ডোরফিনস’ হরমোন নিঃসৃত হয়, যা বিষন্নতা দূর করে। আর মন ভালো থাকলে কাজও ভালো হবে।
কাজের চাপ কমায়: কাজের ফাঁকে সামান্য হাসি মানসিক চাপ কমাতে অত্যন্ত উপকারী। তাই হাসাহাসির মধ্যে কাজ করলে কাজটা হবে প্রফুল্ল মনে।
সহকর্মীদের মধ্যে সুসম্পর্ক: কর্মীরা একসঙ্গে আনন্দ ও কাজ করলে, তারা কাজেও মধ্যেও আনন্দ খুঁজে পায়। সম্পর্ক ভালো থাকে, ফলে একে অপরের সঙ্গে কথা বলার সময় পদমর্যাদার জড়তা কাজ করে না। হাসাহাসির মাধ্যমে সৃজনশীলতাও বৃদ্ধি পায়।
কখনও কাজের ফাঁকে সামান্য হাসিই আপনাকে চাঙ্গা করে তুলতে যথেষ্ট। তাই মাঝে মাঝে সুনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস আর চেয়ারে বসে ব্যায়াম করা বাদ দিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে আড্ডা দিন।
মানসিক চাপ কমাতে: হাসি মানসিক চাপ কমানোর একটি অন্যতম হাতিয়ার। কষ্ট, রাগ কমাতে এবং সহ্যশক্তি বাড়াতেও এর জুড়ি নেই। পাশাপাশি উপস্থিত বুদ্ধির মাধ্যমে সহকর্মীদের হাসাতে পারলে তারাও আপনাকে পছন্দ করবে।
ছবি: রয়টার্স।