বাজারের অধিকাংশ পরিষ্কারক পদার্থই লেবুর সুগন্ধ এবং শক্তির কথা প্রচার করে। এর কারণ হল লেবু একটি প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক। আর এর সুগন্ধও বেশ সতেজ। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে লেবুতে এমন কোনো রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য নেই যা পরিবেশ বা মানুষের কোনো ক্ষতি করে।
সচরাচর আমরা যেসব পরিষ্কারক বা জীবাণুনাশক ব্যবহার করি সেগুলোর রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য বেশ পরিবেশ এবং প্রাণীর ক্ষতির কারণ হয়। এইসব ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারে খোদ লেবু নিজেই। আর তা জানিয়েছে লাইফস্টাইলবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট।
কাঠের চপিং বোর্ড পরিষ্কার: চপিং বোর্ড সব সময় ভিতরে থেকে পরিষ্কার করতে হয়। আর কাঠ হলে তো কথাই নেই। ময়লা একদম ভিতরে ঢুকে যায়। সেটাকে বের করা না গেলে বোর্ড নিজেই জীবাণুর নিরাপদ আশ্রয় হয়ে উঠে। এই সমস্যার খুব সুন্দর সমাধান করতে পারে লেবু।
কাঠের বোর্ডে প্রথমে লবণ ঢেলে দিতে হবে। এরপরে সেই লবণের উপরে লেবুর রস ফেলে আচ্ছা মতো ঘষে ঘষে পরিষ্কার করতে হবে। মন মতো পরিষ্কার হলে মিনিট পাঁচেক অপেক্ষা করে পানি ঢেলে ধুয়ে নিতে হবে।
প্রাকৃতিক পরিষ্কারক দ্রবণ: একটা স্প্রে বোতলে এক কাপ ভিনিগার এবং এক কাপ পানি নিতে হবে। এর মধ্যে লেবুর ফালি চিপে দিন। এই দ্রবণ এক সপ্তাহ রেখে দিতে হবে। এই সময়ের মধ্যে ভিনিগার ও পানির দ্রবণে লেবুর রস সম্পূর্ণভাবে মিশে যাবে। এই দ্রবণ ছিটিয়ে এখন নোংরা তাক, জানালার কাচ অথবা নোংরা যে কোনো জায়গা পরিষ্কার করা যাবে। পরিষ্কার তো হবেই সঙ্গে জীবাণুও দূর হবে।
মাইক্রোওয়েভ পরিষ্কার: মাইক্রোওয়েভে খাবার গরম করলে কিছু খাবার ছিটে মাইক্রোওয়েভের নানান জায়গায় ছড়িয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার করা অনেক সময়ই করা হয় না। ফলে খাবারের ছিটে যাওয়া অংশ বার বার পুড়ে শক্ত হয়ে যায়। এই শক্ত ময়লা তুলে ফেলা প্রায় অসম্ভব হয়ে যায়।
একটা লেবুর অর্ধেক এক বাটি পানিতে ফেলে তা এক থেকে দুই মিনিট মাইক্রোওয়েভ গরম করলে, লেবু এবং পানির বাষ্প ময়লাটিকে নরম করে ফেলে। নাছোড়বান্দা ময়লা তখন আলতো করে মুছে নিলেই উঠে আসে।
রান্না ঘরের সিংক পরিষ্কার: রান্নাঘরের সিংকে লবণ ছিটিয়ে এরপরে লেবু দিয়ে লবণটুকু ঘষে সিংক পরিষ্কার করুন। লেবু-লবণের মিলিত প্রয়াসে সিংকের জীবাণু তো নাশ হবেই সঙ্গে থাকা পানির দাগও দূর হয়ে যাবে। রেখে যাবে সুন্দর একটি সুবাস যা নিঃসন্দেহে রান্নাঘরে একটা ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।
ছবি: দীপ্ত।