রাতে একটানা সাত থেকে আট ঘণ্টা নিশ্চিন্ত ঘুম শরীরের বাড়তে ওজন কমাতে এবং নিয়ন্ত্রণে রাখতে অত্যন্ত জরুরি।
গবেষকরা বলছেন, ঘুমের অভ্যাস নিয়ন্ত্রণে না থাকলে অর্থাৎ ঘুমের নির্দিষ্ট সময় মেনে না চললে শরীরে ‘ঘ্রেলিন’ নামক হরমোনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এই হরমোন খাবারের আগ্রহ বা ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে। পাশাপাশি যথেষ্ট ঘুম না হলে পেট ভরা অনুভূতির জন্য দায়ি হরমোন ‘লেপ্টিন’য়ের পরিমাণ কমে। ফলাফল বাড়তি ওজন।
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, ঘুম কম হওয়ার সঙ্গে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বাড়ে। অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে ‘কর্টিসল’য়ের পরিমাণ বাড়ে। ফলে পেটে চর্বি জমতে শুরু করে। ওজন কমাতে ঘুমের ভূমিকা সম্পর্কে জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক এক ওয়েবসাইট।
পেশি গঠন: ঘুমানোর সময় শরীরের মেরামত কাজ চলে। গঠিত-পুনর্গঠিত হয় শরীরের বিভিন্ন কোষ, পেশি ইত্যাদি। তাই ঘুম কম হলে মেরামতের এই জটিল কাজগুলো কম হয়। ফলে শরীরে পেশি কম, চর্বি বেশি হয়।
পরিমাণ মতো ঘুম: কতক্ষণ ঘুমাচ্ছেন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রতিদিন কমপক্ষে সাড়ে ছয় ঘণ্টা ঘুমোনো উচিৎ। তবে সাড়ে আট ঘণ্টার বেশি ঘুমানো উচিৎ নয়।
একই সময়ে ঘুমান: প্রতিদিন ঘুমের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁধে নেওয়া জরুরি। এই সময় মেনে চলা শরীরের সকল শারীরিক প্রকি্রয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
নির্ভেজাল ঘুম: দৈনন্দিন ব্যবহার্য ডিভাইস বিশেষত, মোবাইল ফোন ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। তাই ঘুমানোর কমপক্ষে আধা ঘণ্টা আগে এসব ডিভাইস বন্ধ করে দেওয়া উচিৎ।
ছবি: রয়টার্স।