ডিমের কুসুম, ভালো না খারাপ!

'ডিমের কুসুম খেলে শরীর মুটিয়ে যায়, কোলেস্টেরল বেড়ে যাবে’ ধারণাটি বহুদিনের পুরানো। সত্যতা কতটুকু না জানলেও মেনে চলেন অনেকেই। তবে কুসুম খাওয়ার উপকারিতা কেউ অস্বীকার করবে না।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 March 2016, 09:44 AM
Updated : 18 Sept 2017, 11:43 AM

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট জানাচ্ছে ডিমের কুসুমের উপকারিতা।

দৃষ্টিশক্তি: ‘করাটেনোয়েডস’ নামক পুষ্টি উপাদানের জন্য শাকসবজির উপর জোর দেন অনেকেই। ডিমের কুসুমে থাকে ‘লুটিন’ ও ‘জিযান্থিন’ নামক দুই ধরনের ক্যারাটেনোয়েডস। যা চোখকে অতি বেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে। গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন এই উপাদান গ্রহণের মাধ্যমে বার্ধক্যজনিত চোখের সমস্যা রোধ করতে সহায়ক।

স্মুতিশক্তি: ডিমের কুসুমে থাকে ‘কোলিন’। এটি একটি খাদ্য উপাদান যা শরীরের সকল কোষের সাধারণ কার্যপদ্ধতি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। বিশেষত, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। ফলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে।  

হৃদরোগ: কুসুমের আরেকটি উপাদানের নাম ‘বেটাইন’, যা রক্তে ‘হোমোসিস্টেইন’য়ের মাত্রা কমায়। রক্তকণিকায় হোমোসিস্টেইনের মাত্রা বেশি থাকলে হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তারমানে ডিমের কুসুম হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও সহায়ক।

চর্বি ও কোলেস্টেরল: ডিমের কুসুমের চর্বি উপাদান পুরোপুরি ভিত্তিহীন। চর্বি যদি থাকেও, তার অর্ধেকই ‘স্যাচারেইটেড’ নয়। অপরদিকে, নতুন গবেষণা অনুযায়ী, ‘স্যাচারেইটেড ফ্যাট’ বা যে চর্বি সর্বোচ্চ পরিমাণে পানি ধরে রাখে, তা আপনার শত্রু নয়। আর কোলেস্টেরলের সমস্যা আগে থেকেই না থাকলে ডিমের কুসুমের কোলেস্টেরল ক্ষতিকর নয়। মনে রাখবেন পরিমাণ মতো খেলে কোনো খাবারই শরীরে বরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করে না।  

তাই ডিমে অ্যালার্জি না থাকলে নিশ্চিন্তে কুসুমসহ ডিম খেতে পারেন।

যেভাবে খাবেন: পুরো সিদ্ধডিম কুচি করে সালাদের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন।

তাড়াহুড়ার দিনে সকালের নাস্তা হিসেবে সিদ্ধ ডিম খেতে পারেন বা সঙ্গে রাখতে পারেন স্ন্যাকস হিসেবে খাওয়ার জন্য।

আস্ত সিদ্ধ ডিমের কুচির সঙ্গে লেবুর রস, অলিভ ওয়েল এবং পেঁয়াজের মতো সবজি ‘লিকস’য়ের সঙ্গে মিশিয়ে সালাদ বানিয়ে খেতে পারেন।

পাউরুটির টোস্টের উপর একটি ডিম পোচ ও সিদ্ধ পালংশাক দিয়ে খেতে পারেন। স্বাদ বাড়াতে দিতে পারেন সালসা সস।