স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে চা’য়ের বেশ কিছু উপকারী দিক তুলে ধরা হয়। বিভিন্ন ভেষজ উপাদানে ভরপুর চা’য়ের গন্ধ ও স্বাদের জন্য জনপ্রিয় হওয়ার পাশাপাশি এগুলো বেশ স্বাস্থ্যকরও বটে।
মন ভালো করতে চা: সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর, দিন শুরু হয় এক কাপ চা দিয়ে। তেহেরান ইউনিভার্সিটি অফ মেডিকেল সায়েন্স’য়ের গবেষকরা জানান, জাফরান মিশ্রিত চা মানসিক চাপ ও হতাশা দূরকরা ওষুধের মতোই কার্যকর। অবসাদ অনুভূত হলে স্যাফরন চা পান করলে তা দূর করা যেতে পারে।
মাথাব্যথা দূর করতে: লাল চা বেশ উপকারী। এক কাপ লাল চা’য়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যাফেইন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে যা মাথাব্যথা উপশমে কার্যকর।
ক্যান্সার প্রতিরোধক: ক্যান্সার প্রতিরোধে গ্রিন টি বেশ উপযোগী, এমনই তথ্য পাওয়া গেছে বিভিন্ন গবেষণায়। সরাসরি প্রতিরোধে সহায়তা না করলেও গ্রিন টি’তে থাকা ক্যাথেচিন এবং অ্যন্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সারের জীবাণুর কারণে কোষের ক্ষতি রোধ করতে সাহায্য করে।
ঘুমে সহায়ক: চা খেলে ঘুম হবে না, প্রচলিত এই ধারণা পুরোপুরি ভিত্তিহীন। বরং ক্যামোমাইল চা পর্যাপ্ত ঘুম হতে সহায়ক। ক্যামোমাইল চা গ্যাসের সমস্যা দূর করে এবং হজমে সহায়তা করে। পাশাপাশি দুশ্চিন্তা কমিয়ে ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে। তাই ঘুমাতে যাওয়ার কিছুক্ষণ আগে এক কাপ ক্যামোমাইল চা ঘুম হতে সহায়ক।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক: গ্রিন টি’র নানা উপকারীতার মধ্যে এটিও অন্যতম। নিয়মিত পানে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। মলিকিউলার নিউট্রিশন অ্যান্ড গ্যালেট’য়ে এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়। মস্তিষ্কের কোষ গঠন করে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
মানসিক চাপ কমাতে উপকারী চা: লাল চা ও গ্রিন টি’তে রয়েছে থিয়ামিন এবং প্রাকৃতিক ক্যামিকল যা মস্তিষ্ক শান্ত করতে সাহায্য করে। কর্মব্যস্ত দিনের পর মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে এক কাপ ধোয়া ওঠা লাল চা বা গ্রিন টি যথেষ্ট।
ছবি: দীপ্ত।