অকালে মাথায় টাক পড়ে যাওয়ার পরিমাণ প্রতিনিয়তই বাড়ছে, যার কারণ সময়ের সঙ্গে গড়ে ওঠা ক্ষতিকর অভ্যাস।
Published : 22 Feb 2016, 04:15 PM
যাদের এখনও চুল আছে তারা হয়ত চুলের সঠিক যত্ন নিচ্ছেন না অথবা অভ্যাসগুলো যে ক্ষতিকর সে সম্পর্কে অবগত নয়। শরীরের অন্য অঙ্গের মতো চুলেরও চাই যত্ন।
স্বাস্থ্যবিষয়ক এক ওয়েবসাইট জানিয়েছে চুলের যত্নে করণীয় এবং করা উচিত নয় এমন কিছু বিষয়।
করণীয়
মানসম্মত প্রসাধনী: পয়সা বাঁচাতে গিয়ে চুলের বারোটা বাজানো মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ নয়। আবার বুঝতে হবে নিজের চুলের ধরনটাও। তাই দাম বেশি হলেও নিজের চুলের সঙ্গে মানানসই প্রসাধনী ব্যবহার করা উচিত।
তেল: চুলে তেল দিলে চুলের প্রয়োজনীয় পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয়। চুল পড়াও কমে। তেল সরাসরি মাথার ত্বকের প্রয়োগ করতে হবে।
অভিজ্ঞ হেয়ারড্রেসার: চুল সুন্দর করার সিংহভাগ কাজই করে একজন হেয়ারড্রেসার। চুলের পরিচর্যা করে জীবিকা অর্জনকারীরা আপনাকে জানাবে আপনার চুলের পরিচর্যা করার বিভিন্ন উপায়।
শুকনা চুলে চিরুনি নয়: চিরুনি ব্যবহার করলে চুল ভেঙে যায়। তাই শুকনা চুল আঁচড়াতে চিরুনি ব্যবহার না করে আঙুল বুলিয়ে নিতে পারেন।
কন্ডিশনার: প্রতিদিন চুল পরিষ্কার করা আবশ্যক। তবে কন্ডিশনার প্রতিদিন ব্যবহার না করলেও চলবে। প্রাসধনী ব্যবহার করলে অবশ্যই শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে।
যা করা উচিত নয়
অতিরিক্ত প্রসাধনী: যে কোনো প্রসাধনী অতিরিক্ত ব্যবহার করা ক্ষতিকর, যা চুলের জন্যও প্রযোজ্য। স্টাইলিংয়ের জন্য আঙুলের মাথায় একটু জেলই যথেষ্ট।
সাবান: ক্ষারীয় উপাদান বেশি, আর কন্ডিশনার থাকে না। তাই সাবান দিয়ে পরিষ্কার করলে চুল হয়ে যায় শুষ্ক। এক কারণে সাবান দিয়ে মাথা পরিষ্কার করা যাবে না।
অতিরিক্ত তাপ: সকালে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করলে বেশি তাপ দেয়া উচিত নয়। এতে চুলের ক্ষতি হয় এবং দীর্ঘদিন ব্যবহারে চুল রুক্ষ হতে পারে।
অতিরিক্ত ধূমপান: ধূমপান চুলের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকার। এতে চুলে গন্ধ হয়, শুষ্ক হয়ে যায় এবং চুল ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই ধূমপান ত্যাগ করতে হবে।
অতিরিক্ত গরম পানি: অতিরিক্ত গরম সবকিছুই চুলের জন্য ক্ষতিকর। চুল ভাঙা থেকে বাঁচতে গোসলে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা দরকার।
ছবি: রয়টার্স।