স্বাস্থ্যকর খাবার থেকেও সাবধান

ওজন কমানোর জন্য আমরা প্রতিনিয়ত যেসব খাবার বেছে নেই সেগুলো সব সময় শরীরের উপকার না করে শরীরের জন্য ডেকে আনে অমঙ্গল।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Feb 2016, 08:13 AM
Updated : 21 Feb 2016, 08:13 AM

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বাজারে এমন অনেক পণ্য পাওয়া যায় যেগুলো পুষ্টিকর হিসেবে দাবি করে। তবে গায়ে লাগানো লেভেল পড়লেই বোঝা যায় সেগুলো মোটেই কোনো ভালো জিনিস দিয়ে তৈরি নয়।

খাবারগুলো শরীরে কোনো উপকার করে তো নাই উল্টা হাসপাতালে পাঠানোর মতো জটিলতা তৈরি করে।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট জানিয়েছে সেইসব আপাতদৃষ্টিতে পুষ্টিকর কিন্তু ক্ষতিকর খাবারগুলো কী এবং তা কীভাবে আমাদের শরীরে ক্ষতি করে।

ফলের রস: অনেকে গোটা ফল খাওয়ার চেয়ে ফলের রস খেতে বেশি পছন্দ করেন। তবে বাজারে পাওয়া খুব কম ফলের রসেই ফল থাকে। অধিকাংশ ফলের রসই কৃত্রিম রং ও স্বাদ দিয়ে তৈরি করা হয়। সঙ্গে থাকে প্রচুর পরিমাণে চিনি ও খুব অল্প পরিমাণে ভিটামিন। এমনকি যদি গায়ে লেখা থাকে যে চিনি মুক্ত তবুও তাতে চিনি থাকে। এসব রস খেলে ওজন বৃদ্ধি পায় পাশাপাশি টাইপ টু ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ইত্যাদির ঝুঁকিও বেড়ে যায়।

অপরিশোধিত আটা: যদিও লাল আটা খাওয়া সাদা আটা বা ময়দার চেয়ে ভালো তবুও লাল আটা শরীরের জন্য ভালো নয়। একটা গবেষণায় জানা গিয়েছে লাল আটা শরীরের ভিটামিন ডি’র সঞ্চয়কে নিঃশেষ করে দেয়। এছাড়াও লাল আটা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা শতকরা ৬০ ভাগ বাড়িয়ে দেয়। যা হৃদপিণ্ডে সমস্যা তৈরি করে। লাল আটাতে প্রচুর পরিমাণে গ্লুটেন থাকে। সবদিক বিবেচনা করলে লাল আটা পরিমিত মাত্রায় খাওয়াই ভালো।

মধু: চিনির পরিবর্তে মধু খাওয়াকে ভালো অভ্যাস হিসেবে ধরা হয়। মধুতে চিনির বিশ্লেষিত অবস্থা ফ্রুকটোজ থাকে। ফ্রুকটোজ মাত্রায় বেশি হলে তা লিভার বড় হয়ে যাওয়া সমস্যা তৈরি করে। ওজন বৃদ্ধি করা, ডায়বেটিস সমস্যা তৈরিতেও ফ্রুকটোজ ভূমিকা রাখে। সাধারণ চিনিতে শতকরা ৫০ ভাগ ফ্রুকটোজ থাকে তবে মধুতে থাকে শতকরা ৯০ ভাগ। চিনির সমস্যা এড়াতে গিয়ে আরও বড় সমস্যা সৃষ্টি হয়ে যায়।

এনার্জি ড্রিংকস: এই পানীয়তে পানি, চিনি এবং সামান্য সোডিয়াম ছাড়া কিছুই থাকে না। এগুলো খুব দ্রুত শরীরে শক্তির যোগান দেয়। তবে একজন সাধারণ মানুষের এই দ্রুত শক্তির কোনো প্রয়োজন নেই। ক্রীড়াবিদ বা অন্য যারা ওয়েট ট্রেইনিং বা খুব কঠোর শারীরিক পরিশ্রম করে প্রচুর ঘাম ঝরায় তাদের কথা ভেবে এই পানীয় বানানো হয়। প্রতি বোতল এনার্জি ড্রিংকসে ৩০ গ্রাম পরিমাণ চিনি থাকে। এই ড্রিংকস সাধারণ মানুষের শরীরে চিনির অপ্রয়োজনীয় বোঝা বাড়ানো ছাড়া কিছুই করে না।