রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এমনই কিছু বিষয় এবং ভুল উল্লেখ করা হয়।
মেইকআপের আগে সানস্ক্রিনের ব্যবহার: লস অ্যাঞ্জেলসের ত্বক বিশেষজ্ঞ জেসিকা ইউ বলেন, “ঘর থেকে বের হওয়ার সময় মেইকআপ শুরুর আগে যদি প্রথমেই সানস্ক্রিন দেওয়ার পর ময়েশ্চারাইজার এবং মেইকআপ ব্যবহার করা হয়, সেক্ষেত্রে সানস্ক্রিনের কার্যকারিতা কমে আসে।”
তিনি জানান, সানস্ক্রিনের অন্য প্রসাধনীর পরত দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা এসপিএফ মুছে যেতে পারে। এক্ষেত্রে মেইকআপ শেষ করার পর সবার উপরে এসপিএফ ৩০ যুক্ত সানস্ক্রিন হালকাভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
প্রসাধনীতে থাকা এসপিএফ-এর উপর নির্ভর করা: কিছু প্রসাধনীর গায়ে এসপিএফ-এর মাত্রা লেখা থাকে। যা সূর্য রশ্মি থেকে ত্বক রক্ষা করার দাবী করে থাকে। তবে প্রসাধনীতে থাকা এসপিএফ’য়ের মাত্রা খুবই সামান্য হয়ে থাকে। তাছাড়া কানে এবং গলায়ও সানস্ক্রিন লাগানো জরুরি যা অনেকেই ভুলে যান। তাই প্রসাধনীতে থাকা এসপিএফ’য়ের উপর নির্ভর না করে আলাদাভাবে সানস্ক্রিন বেছে নেওয়া উচিত।
তোয়ালে দিয়ে স্ক্রাবিং করা: অনেকে মুখ স্ক্রাব করতে তোয়ালে ব্যবহার করেন। তবে ত্বকে জমে থাকা তেল এবং এতে আটকে থাকা ধুলাময়লা তোয়ালে তুলে ফেলতে পারে না। বরং বেশি জোরে তোয়ালে দিয়ে ঘষার কারণে ত্বকে জ্বালা অনুভূত হতে পারে। নউ ইয়র্কের ত্বক বিশেষজ্ঞ মোনা গোহারা, হাত ও হালকা স্ক্রাবার ব্যবহার করে ত্বক পরিষ্কারের পরামর্শ দেন।
প্রতিদিন স্ক্রাবার ব্যবহার করা: ত্বকে র্যাশ এবং ব্রণের অতিরিক্ত সমস্যা না থাকলে প্রতিদিন টোনার ব্যবহার করা জরুরি নয়। টোনার ত্বককে ভিতর থেকে পরিষ্কার করে এবং খোলা লোমকূপ সংকুচিত করে। তবে প্রতিদিন ব্যবহারে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। তাই মাঝে মধ্যে টোনার ব্যবহার করতে হবে নিয়মিত নয়।
অতিরিক্ত মুখ ধোয়া: ত্বক তৈলাক্ত হওয়ার কারণে অনেকে বারবার মুখ ধুয়ে থাকেন। তবে ডা. গোহরা বলেন ত্বকের তেল ত্বক সুস্থ রাখতে জরুরি। এটি ত্বকের উপর একটি সুরক্ষিত পরত তৈরি করে। অতিরিক্ত মুখ ধোয়ার কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। তাই দিনে এক বা দু’বার মুখ ধুতে হবে এবং ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
আইক্রিম ব্যবহার: অনেকের ধারণা চোখের জন্য আইক্রিম ব্যবহার অপরিহার্য। তবে চোখের চারপাশের ত্বক যদি অতিরিক্ত শুষ্ক না হয়, অথবা জ্বলুনি বা অন্য ধরনের সমস্যা না থাকে তাহলে আলাদাভাবে সানস্ক্রিন ব্যবহার অপরিহার্য নয়। সাধারণ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারেও উপকার পাওয়া যাবে।
সুগন্ধি লোশন ব্যবহার: ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে লোশনের ব্যবহার নতুন করে উল্লেখ করার কিছু নয়। তবে তীব্র সুগন্ধিযুক্ত লোশন ত্বকের তেমন কোনো উপকারে আসে না। ডা. গোহারা জানান, প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি দাবী করা সুগুন্ধি লোশনেও ক্ষতিকর উপাদান থাকতে পারে। তাই ত্বকের জন্য গন্ধহীন লোশন বেছে নিতে হবে।
অ্যন্টি-এইজিং ক্লিনজার ব্যবহার: বয়স কমিয়ে দেওয়ার দাবী রাখা ক্লিনজার ব্যবহার করে অনেকেই মনে করেন তাদের ত্বকের বয়স কমে আসবে। তবে ক্লিনজার ব্যবহারে কখনও ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখা সম্ভব নয়। তরুণ ত্বকের জন্য নাইট ক্রিম ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার বেশি উপকারী।
দীর্ঘস্থায়ী হেয়ার স্প্রে ব্যবহার: চুলের স্টাইল ধরে রাখতে হেয়ার স্প্রে ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী স্প্রে এড়িয়ে চলা ভালো। কারণ দীর্ঘস্থায়ী স্প্রে স্টাইল ধরে রাখলেও এতে থাকা অ্যালকোহল চুল রুক্ষ করে ফেলবে। ফলে প্রতিবার চুল আঁচড়ানোর সময় চুল ভেঙে পড়ার পরিমাণও বেড়ে যাবে।
ছবি: দিপ্ত।