জাঙ্ক ফুডের প্রভাব কমাতে

অনেকটা কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা মতো বিষয়। খাবার খেয়ে পেট গুলালে বা গ্যাস হলে পরিত্রাণের জন্যও রয়েছে নানান রকম খাবার।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Jan 2016, 10:50 AM
Updated : 18 Jan 2016, 11:49 AM

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে দুইজন পুষ্টিবিদ এরকম খাবারের সন্ধান দিয়েছেন।

টক দই: স্বাদ হয়তো এমন কিছু সুস্বাদু নয়। তবে সকালের নাস্তায় এটা খেতে রাজি হয়ে যেতে পারেন। কেননা, শরীরের কার্যক্ষমতা কার্যকর করতে সকালের নাস্তায় টক দই চাবির মতো কাজ করে। টক দইয়ে আছে উপকারী ল্যাকটোবাসিলাস নামের ব্যাকটেরিয়া। চিনিযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে পেটের জ্বালাপোড়া কমাতে এই ব্যাকটেরিয়ার জুড়ি মেলা ভার।

গ্রিন টি: সকাল সকাল যদি প্রাণ শক্তিতে ভরপুর হয়ে যেতে চান তবে গ্রিন টির কাপে কয়েক চুমুক দিতে ভুলবেন না। এই পানীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। জাঙ্ক ফুড খাওয়ার ফলে দেহের কোষে যে ক্ষতি হতে পারে, তা এই অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রোধ করে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, গ্রিন টি পান করলে শরীরের শর্করার মাত্রা ঠিক থাকে এবং খাওয়ার রুচিও বাড়ে। যা নিয়মিত জাঙ্ক ফুড খেলে নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

পানি: ক্যাফেনেইটেড পানীয় যেমন চা বা কফির সঙ্গে সারাদিন বারবার পানিও খেতে হবে। অনেক বেশি জাঙ্ক ফুড খেয়ে ফেলার পরে শরীরের তারল্যের মাত্রা ঠিক রাখতেও অনেক পানি খেতে হয়। পানি শরীরে থাকা বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যেতে সাহায্য করে। হজমে সহায়তা করে এবং পেটে গ্যাস জমার ফলে যে বমিভাব হয় তা দূর করে।

ডিম-সবজি ভাজি: ডিমের অ্যামাইনো এসিড জাংক ফুডের বিষাক্ত উপাদান ভেঙে মূত্রের মাধ্যমে বের হয়ে যেতে সাহায্য করে। আঁশযুক্ত সবজি যেমন- পালংশাক বা টমেটো পেটের ফাঁপানো ভাব রোধ করে এবং হজম প্রক্রিয়াকে নির্বিঘ্ন রাখে।

পনির, গরুর চর্বিযুক্ত মাংস এবং অন্য বেশি চর্বির খাদ্য অন্ত্রে খাবারের চলাচলের গতি কমিয়ে দেয়। এতে পেট ফাঁপানো-ভাব, বমিভাব, গ্যাস ইত্যাদি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এই খাবারগুলো তাই বর্জনের চেষ্টা করতে হবে।

আদা ও পুদিনার চা: আপনার যদি খুব বেশি পেট ফাঁপানো ভাব থাকে, পেট মোচড়ায় এবং বদহজম অনুভব হয় তবে আদা বা পুদিনার চা সম্ভবত আপনার জন্য সবচেয়ে জরুরি পানীয়। এদুটি উপাদান হজম ক্রিয়ায় অংশ নেওয়া পেশিগুলোকে শিথিল করে এবং গ্যাস বের হতে সাহায্য করে। পেটের তীক্ষ্ণ ব্যথা কমিয়ে দেয়। উপরি পাওনা হচ্ছে এই চা দুটি ক্যাফেইন মুক্ত তাই পানি গ্রহণের মাত্রাও বেশি থাকে।

কলা: নোনতা চিপসজাতীয় খাবারে সোডিয়াম নামক খনিজ পদার্থ উপস্থিত থাকে যেটি শরীরের রক্ত চাপ বাড়িয়ে দেয়। কলায় পটাশিয়াম নামক খনিজ থাকে যা রক্তচাপ কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। এছাড়াও পটাশিয়াম বমিভাব, পেটে গ্যাস জমা এগুলো কমাতেও বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

জই: যবের মতো দেখতে একটি শস্য দানা জই যাকে আমরা সাধারণভাবে ওটস নামে চিনি। জাংক ফুড খাওয়ার পরে বদ হজমের অনুভূতি হওয়া খুব স্বাভাবিক। কিছুটা জইয়ের চিড়া ভিজিয়ে এর উপর নাশপাতি দিয়ে খেতে পারেন। এই খাবার আঁশযুক্ত তো বটেই এছাড়াও এই খাবার হালকা বলে পাকস্থলী খুব আরাম পায়।

পানি সমৃদ্ধ ফল:  আঙুর, তরমুজ, কমলা, নাশপাতি ফলগুলো প্রচুর পরিমাণে পানি ধারণ করে। শুধু পানি খেতে যদি খারাপ লাগে তবে এইসব পানিসমৃদ্ধ ফল খেতে পারেন।

এই ফলগুলো পানির সঙ্গে অনেক ধরনের ভিটামিন মিনারেল ধারণ করে। অল্প শর্করা গ্রহণে যদি আপনার শরীর নিস্তেজ হয়ে যায় তাহলে দ্রুত শর্করার যোগান দিয়ে আবার সতেজ করতেও এই ফলগুলো ফলদায়ক। উপরন্তু আঁশযুক্ত হওয়ায় এই ফলগুলো হজমেও সহায়তা করে থাকে।