পার্বত্য জেলায় ঘুরতে গিয়ে স্থানীয় খাবারের স্বাদ নেবেন না, তা তো হয় না। পাহাড়িদের এসব বাহারি খাবার যতই বিচিত্র হোক, তা স্বাদে-গুণে অনন্য।
খাগড়াছড়ির বিভিন্ন রেস্তোরাঁ ঘুরে সে কথাই জানাচ্ছেন সমির মল্লিক।
ব্যাম্বু চিকন বা বাঁশ মুরগি: পাহাড়ের আসলে এটি অবশ্য পরখ করে দেখবেন। না হলে যেন সব বৃথা। বাঁশের ভিতরে রান্না করা হয় ব্যাম্বু চিকেন। ব্যঞ্জনটা একটু ভিন্ন। দেশি মোরগের সঙ্গে পাহাড়ি আদা, রসুন, মরচি এবং সাবারাং পাতার সংমিশ্রণ করে কাঁচাবাঁশের ভিতরে ঢুকিয়ে কলাপাতা দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় বাঁশের মুখ।
শুধু কয়লার আগুনেই খাবারটি পূর্ণতা পায়। স্বাদ আর গন্ধে ব্যাম্বু চিকেন অসাধারণ। এই খাবারের জন্য আগেই থেকেই অর্ডার করতে হবে। পরিমাণ ভেদে দাম ৫শ’ থেকে ১ হাজার টাকা।
কচিবাঁশের ভাজি: ঋতুভিত্তিক খাবার। শুধুমাত্র বর্ষাকালে পাওয়া যায়।
নতুন বাঁশের সবচেয়ে নরম অংশ দিয়ে রান্না করা হয় বাহারি সব পদে খাবার। যে কোনো তরকারি জন্য উপযুক্ত এই বাঁশ কোড়লের সঙ্গে চিংড়িশুটকির রসায়নটা সবচেয়ে বেশি যায় বলে কচিবাঁশ বা বাঁশকোড়লের ভাজি বর্ষায় গেলে একবার পরখ করে দেখবেন। দাম প্রতি প্লেট ৭০ থেকে ৮০ টাকা।
সবজি সিদ্ধ সঙ্গে সুচ মরিচের ভর্তা: পাহাড়িদের অন্যতম উপদেয় খাবার। তবে ঝাল খেতে অভ্যস্ত না হলে এ্রর আশপাশে যাবেন না।
গরম পানিতে সিদ্ধ করা বরবটি, বাঁধাকপিসহ পাহাড়ের নানান সবজির সঙ্গে কাঁচামরিচের সংমিশ্রণ করে এই খাবার খেতে হয়। সবজি খেয়ে চোখের আর নাকের পানি এক করতে পছন্দ করেন যারা তারা এটি পরখ করে দেখতে পারেন। পরিমাণ ভেদে দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকা।
মিষ্টি কুমড়ার ফুলের তরকারি: যা বছরের সবসময় কমবেশি পাওয়া যায়। মিষ্টি কুমড়ার সঙ্গে ডিম দিয়ে তৈরি হয় মিষ্টি কুমড়ার ভাজি। পাহাড়ের রেস্তোরাঁয় প্রায়শ এই উপাদেয় খাবারের দেখা মেলে। দামও খুব বেশি নয়, দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা।
এছাড়াও পাহাড়ের রেস্তোরাঁগুলোতে নিয়মিত পদে হিসেবে দেশি মোরগ, হাঁসের মাংস, মাশরুমের তরকারি ও বাহারি ভর্তা মিলবে।
খাগড়াছড়ির সিস্টেম রেস্টুরেন্ট, ইজোড়, খাং ময়, টঙসহ অন্যন্য আদিবাসী রেস্তোরাঁয় পাবেন এ্সব বাহারি পাহাড়ি খাবার।