‘ব্রাঞ্চ’য়ে যা খাওয়া উচিত

শেষ সকালের খাবার হতে হবে পুষ্টিকর ও সহজপাচ্য।

তৃপ্তি গমেজবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Dec 2015, 09:40 AM
Updated : 29 Dec 2015, 09:41 AM

ছুটির দিনে ঘুম থেকে দেরিতে উঠেছেন! নাস্তা করার সময় নেই আবার দুপুরের খাবারের সময় হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে সারা সপ্তাহের জমে থাকা কাজও করতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে যে ভোজের ব্যবস্থা করা হয় তাকেই প্রচলিতভাবে 'ব্রাঞ্চ' বলে।

বাংলাদেশ গার্হস্থ্যঅর্থনীতি কলেজের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ফারাহ মাসুদা বলেন, “সকালে বেশি সময় খালি পেটে থাকা ঠিক না এতে নানা রকম শারীরিক সমস্যা হতে পারে। ঘুম থেকে উঠেই এমন কিছু খেয়ে নেওয়া উচিত যা তাৎক্ষনিক ক্ষুধা নিবারণ করে এরপর শেষ সকালের খাবার (ব্রাঞ্চ) হিসেবে একটু ভারি খাবার খাওয়া প্রয়োজন। তবে অবশ্যই তা হতে হবে সহজপাচ্য ও পুষ্টিকর।”

অনেকে ছুটির দিনে দশটা- এগারোটার দিকে সকালের নাস্তা করেন আবার দুপুরের খাবার খেতে খেতে তিনটা চারটা বাজে। একারণে সকালের নাস্তা একটু ভারি হওয়া দরকার।

তিনি বলেন, “উদ্ভিজ্জ প্রোটিন ও শস্য আছে এমন খাবার এই ক্ষেত্রে খাওয়া ভালো। পাশাপাশি ভিটামিন সমৃদ্ধ সবজি ও ফল অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। এধরনের মেন্যু পরিকল্পনার ক্ষেত্রে সবজি খিচুড়ি অথবা সবজি-রুটি-ডিম ও পাকাফল অন্তর্ভুক্ত করা ভালো। কারণ এতে করে দেহের প্রয়োজনীয় কার্বহাইড্রেট, প্রোটিন, ক্যালোরি ও ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।”

তিনি আরও বলেন, “নাস্তা নির্বাচন একটি জটিল কাজ। কারণ তা পছন্দসই না হলে অনেকেই খেতে চায় না। বিশেষ করে শিশুরা। এক্ষেত্রে শিশুদের পছন্দসই খাবার দেওয়াই ভালো। তবে বেশি ভালো হয় যদি তাদের পছন্দসই খাবারের সঙ্গে সবজি, ডিম ও অন্যান্য শস্য মিলিয়ে দেওয়া যায়।”

”যেমন- শিশুরা যদি খিচুড়ি খেতে না চেয়ে স্যান্ডউইচ খেতে চায় তবে স্যান্ডউইচয়ের ভেতরে মাংসের বদলে মাঝে মাঝে ডিম, শসা, গাজর, বিন ইত্যাদি দেওয়া যেতে পারে। সঙ্গে এক গ্লাস দুধ অথবা ফলের রস খাওয়ানো যেতে পারে।” পরামর্শ দিলেন এই পুষ্টিবিদ।

পাশাপাশি শিশুদের সবজি খাওয়ার আগ্রহ বাড়ানোর জন্য শাক-সবজির পুষ্টিগুণ সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে। একটা পর্যায়ে শিশু নিজ থেকেই এসব খেতে চাইবে।

শেষ সকালের খাবার হিসেবে যে মেন্যুই বেছে নেওয়া হোক না কেনো তা সহজপাচ্য করার জন্য সুসিদ্ধ, স্বল্প তেলের ব্যবহার ও কম মসলায় রান্না খাবার হওয়া প্রয়োজন বলে জানান ফারাহ মাসুদা।

ছবির প্রতীকী মডেল: ফকরুল আবেদীন মিলন।