ওজন কমানো সবসময় পরিশ্রমসাধ্য মনে করা হলেও, গবেষণায় জানা গেছে জিম বা ডায়েটিংয়ের চেয়েও বেশি ক্যালোরি পোড়ানো সম্ভব রাতে ঘুমানোর সময়।
Published : 27 Dec 2015, 04:19 PM
স্বাস্থবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ইউনিভার্সিটি অফ আইওয়া’র একদল গবেষকের অনুসন্ধান অবলম্বনে জানানো হয়, আন্ত্রিক ব্যাকটেরিয়ার অস্বাস্থ্যকর পরিবর্তন ওজন বাড়ানোর কারণ হতে পারে।
একই রকম আরেকটি গবেষণায় জানা গেছে, ঘুমের ঘাটতিও ওজন বৃদ্ধিকে প্রায় শতকরা ৫৫ ভাগ পর্যন্ত দ্রুত করতে পারে।
ভারতীয় খাদ্যবিশারদ নেহা ছন্দা জানান, আন্ত্রিক ব্যাকটেরিয়ার সামান্য পরিবর্তন ইনসুলিন প্রতিরোধী ক্ষমতার ওপর প্রভাব বিস্তার করে, রুচি কমানোর হরমোন বাড়াতে পারে, এমনকি বিপাকের ধরণ বদলে দিতে পারে।
মুম্বাইভিত্তিক এই পুষ্টিবিদ বলেন, “ঘুমানোর সময় আমাদের দেহ নিজেকে সারিয়ে তোলে ও পুনর্গঠিত করে। ঠিক এই সময়ে এসকল ব্যাকটেরিয়া সবচেয়ে ভালো কাজ করে।
প্রতিবেদনে ঘুমের সময় ওজন হ্রাসের কিছু উপায় উল্লেখ করা হয়।
রাতের খাবার আগে খাওয়া: বেশি রাত করে রাতের খাবার খাবেন না। রাতের খাবার আর ঘুমানোর সময়ের মধ্যে যথেষ্ট ব্যবধান থাকতে হবে।
মাংস খাওয়া: বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশিরভাগ মাংসে থাকে ট্রাইপ্টোফ্যান নামক অ্যামিনো এসিড, যার আছে ঘুম উদ্রেক করার ক্ষমতা। এমনকি মাত্র কয়েক আউন্স মাংসও গভীর ঘুমের দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে দিতে সক্ষম। তাই ঘুমের আগে মাংস না খাওয়াই ভালো।
মরিচ খাওয়া: গবেষণায় দেখা গেছে, মেদ পোড়ানোর সবচেয়ে কার্যকর উপায়গুলোর একটি হচ্ছে, মরিচ খাওয়া। নিয়মিত খাবারে মরিচ অন্তর্ভূক্ত করলে ঘুমের মধ্যেও মেদ পোড়ানোর কাজ দ্রুত করা সম্ভব।
ঘুমের আগে প্রোটিন: ঘুমাতে যাওয়ার আগে প্রোটিনজাতীয় খাবার খাওয়া বিপাকীয় কাজ দ্রুত করে। গবেষকরা দেখেছেন, সন্ধ্যার নাস্তায় যে ব্যক্তি মাত্র ৩০ গ্রাম আমিষ গ্রহণ করেছেন, পরদিন সকালে আবার নাস্তা খাওয়ার আগ পর্যন্ত তার বিপাকের হার ছিল অনেক উঁচুতে।
শর্করা বা চর্বির চেয়ে আমিষ অধিক তাপ উৎপাদন করে, অর্থাৎ আমিষ হজম করার সময় দেহ অধিক ক্যালোরি পোড়ায়।
মিন্ট হতে পরে উদ্ধারকারী: ধারণা করা হয় মিন্ট বা পুদিনা পাতা ওজন কমাতে পারে। তাই প্রতিঘণ্টায় পুদিনাপাতা গন্ধ নেওয়া যেতে পারে। আবার চাইলে ঘুমের আগে বালিশের উপর কাপড় দিয়ে কয়েক ফোঁটা পেপারমিন্ট অয়েল মাখিয়ে রেখেও এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।
এসি ছেড়ে দিন: অপেক্ষাকৃত ঠাণ্ডা আবহাওয়া সূক্ষ্মভাবে কিছু বিশেষ কোষের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। এসব কোষ ধূসর চর্বি (ব্রাউন ফ্যাট) জমা করে। এই চর্বি পেটের মধ্যে জমে থাকা মেদ পুড়িয়ে শরীর গরম রাখে। তাই এসি ছেড়ে ঘরের তাপমাত্রা কমিয়ে ঘুমাতে যেতে পারেন।
ছবি: রয়টার্স।