তৃষ্ণা মিটানোর পাশাপাশি নানা ধরনের উপকারী পুষ্টি উপাদানে ভরপুর এই ফলের পানি। আমাদের দেশে সহজলভ্য নারিকেল বা ডাবের পানির পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানা নেই অনেকেরই।
Published : 24 Nov 2015, 04:15 PM
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে নারিকেল পানির পুষ্টিগুণ তুলে ধরা হয়।
কম ক্যালোরি: প্রচলিত বেশিরভাগ পানীয়তেই প্রচুর ক্যালোরি আর চিনি থাকে। নারিকেলের পানিতে তুলনামূলক কম ক্যালোরি থাকে। যেমন: ২৪০ মিলি নারিকেলের পানিতে থাকে মাত্র ৪৫ ক্যালোরি।
পটাশিয়াম: কলার থেকেও বেশি পরিমাণে থাকে। তাই এটি শুধু পানি শূন্যতা পূরণেই নয়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক। উল্লেখ্য স্নায়ুতন্ত্র, মস্তিষ্ক এমন কি পেশির শক্তি ঠিক রাখার জন্য পটাশিয়াম প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য।
খনিজ উপাদান: অন্যান্য খনিজের পাশাপাশি নারিকেলের পানিতে থাকে ম্যাগনেশিয়াম এবং কপার যা আমাদের নিয়মিত খাবারের তালিকায় খুবই কম পরিমাণে থাকে। দুর্বলতা ও অবসাদের কারণ হতে পারে ম্যাগনেশিয়ামের অভাব। দাঁত ও হাড় শক্ত রাখতেও ম্যাগনেশিয়াম জরুরি। কপারের অভাবে আমাদের দেহের বিভিন্ন অঙ্গ ও বিপাক ক্রিয়ার স্বাভাবিক কার্য প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়।
তারুণ্য ধরে রাখতে: নারিকেলের পানিতে আছে সেইটোকাইনস যা তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এ উপাদান ক্যান্সার দমনেও সহায়তা করে। শরীরের পিএইচ’য়ের ভারসাম্য বজায় রেখে দেহের বিশেষ সংযোজক টিস্যুগুলোকে মজবুত করে। এমনকি বার্ধক্যজনিত রোগের ঝুঁকিও কমায় নারিকেলের পানি।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের বিষাক্ত মৌলগুলোকে শোষণ করে। নারিকেলের পানিতে থাকে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা এসব মৌলের ক্ষতিকর প্রভাব রোধ করে।
রোগ প্রতিরোধে সহায়ক: নারিকেলের পানিতে প্রচুর পুষ্টি উপাদান ও ভিটামিন থাকে, যেমন রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, থায়ামিন ও পাইরিডক্সিন, ফোলেটস ইত্যাদি। তাছাড়া ভাইরাস ও ব্যাক্টেরিয়া প্রতিরোধের গুণাগুণ রয়েছে এ পানীয়ের যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
হজমে সহায়ক: নারিকেলের পানিতে প্রাকৃতিকভাবেই উপস্থিত থাকে বিশেষ কিছু বায়োঅ্যাক্টিভ এনজাইম যেমন: এসিড ফসফেটেস, ক্যাটালেস, ডিহাইড্রোজেনাস, ডিয়াজটেজ ইত্যাদি। এই উপাদানগুলো হজম ও বিপাকে সহায়ক।
তবে নারিকেলের পানি বের করার পর যত তাড়াতাড়ি খাওয়া যায় ততই ভালো। বেশি সময় গেলে বাতাস ও উষ্ণতার কারণে এর পুষ্টিগুণ কমে যায়।
ছবি: দিপ্ত।