কোলেস্টেরল কমানোর উপায় ১

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে বলা হয়, যদি উচ্চ কলেস্টেরল ধরা পড়ে অথবা সাধারণের তুলনায় মাত্রা অল্পটুকুও বেড়ে যায় তবে ওই সময়ই তা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Nov 2015, 11:27 AM
Updated : 20 Nov 2015, 11:27 AM

তারমানে এই নয় যে মাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য ডাক্তারের কাছে চিকিৎসাধীন থাকতে হবে অথবা ওষুধ নিতে হবে।

লক্ষ্য নির্ধারণ করুন: কোলেস্টেরল কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে জানতে হবে ঠিক কী পরিমাণ বাড়তি কোলেস্টেরল জমে আছে শরীরে। এরপরই ঠিক ওইটুকু বাড়তি কোলেস্টেরল কমানোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাছাড়া শরীরের বিভিন্ন অবস্থা যেমন- ওবেসিটি, হৃদরোগ, বর্তমান কোলেস্টেরল মাত্রা, ধূমপানের অভ্যাস ইত্যাদির উপর নির্ভর করবে এই প্রক্রিয়া।

পরিশ্রম বাড়াতে হবে: কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট বরাদ্দ রাখতে হবে ব্যায়ামের জন্য। কোলেস্টেরল কমাতে সবচেয়ে উপযোগী মাধ্যম শরীরচর্চা। তাছাড়া নিয়মিত ব্যায়াম মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে, হজমে সাহায্য করে, ক্যালরি কমায় এবং শরীর সুস্থ রাখে। ডায়বেটিস এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে ব্যায়ামের জুরি নেই।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন: ওজন অতিরিক্ত বেড়ে গেলে তা ‘ওবেসিটি’র কারণে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া জরুরি। বাড়তি ওজন স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বাড়ায় বহুগুণ। তবে ওজন কমানোর জন্য তাড়াহুড়া করা একেবারেই উচিত হবে না। এজন্য খাদ্যাভ্যাসে লাগাম টানা জরুরি। তারমানে এই নয় যে না খেয়ে থাকতে হবে। ব্যায়াম এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাস ওজন কমিয়ে আনতে সাহায্য করবে।

শুঁটিজাতীয় খাবার: কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে দারুণ উপযোগী হল শুঁটিজাতীয় খাবার। সপ্তাহে অন্তত তিন থেকে চারবার এ ধরনের খাবারগুলো রাখতে হবে তালিকায়। ওই উপাদানগুলোতে থাকা জলীয় উপাদান এবং আঁশ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

নিয়মিত হাঁটুন: সময় বের করে ব্যায়াম করা না হলে দিনে একটি সময় বরাদ্দ রাখতে হবে হাঁটার জন্য। যে কোনো ব্যায়ামের মধ্যে সবচাইতে আদর্শ হল হাঁটা। এজন্য আলাদা কোনো খরচও হয় না পাশাপাশি বেশ উপকারি। নিয়মিত ২০ থকে ৪০ মিনিট হাঁটলে প্রায় ৮.৩ শতাংশ কোলেস্টেরল কমানো সম্ভব।

ডিম খাওয়ার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করুন: যাদের কোলেস্টেরল এবং হৃদরোগের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য ডিম শত্রুই বটে। তবে ডিম স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। তাই খাবারের তালিকায় ডিম রাখলেও খেয়াল রাখতে হবে তা যেন পরিমাণে বেশি না হয়ে যায়। তাছাড়া যেদিন ডিম খাওয়া হবে সেদিন অন্যান্য ভারি খাবার খাওয়ার পরিমাণে লাগাম টানতে হবে।

চর্বি ছাড়া মাংস খান: কলেস্টেরলের সমস্যা থাকলে অবশ্যই মাংস খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে আনতে হবে। আর খেলেও অবশ্যই চর্বিহীন মাংস বেছে নিতে হবে, তাও পরিমাণ মতো।

প্রচুর সবজি খান: কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিরামিষ খাদ্যাভ্যাসের জুরি নেই। তাছাড়া খাবারের তালিকায় সবজির পরিমাণ বেশি হলে তা স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। এতে শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং খনিজ উপাদান পাবে।

পর্যাপ্ত ঘুম: শরীরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে দৈনিক আট ঘণ্টা ঘুমের বিকল্প নেই। সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে রাতে পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত জরুরি।

ছবি: রয়টার্স।