নিম গাছের শিকড়, বাকল, কষ, পাতা, ফল, বীজের শাঁষ ও তেল সবকিছুই খাওয়ার যোগ্য ও বাহ্যিক প্রয়োগযোগ্য ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
Published : 20 Nov 2015, 04:10 PM
নিমের স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক এক ওয়েবসাইট।
- নিমকে গাছকে বলা হয় ‘ওয়ান ট্রি ফার্মেসি’। বিভিন্ন ওষুধ তৈরিতে এবং চুল ও ত্বকের বিভিন্ন ঘরোয়া প্রতিকারের অংশ হিসেবে নিম ব্যবহার করা হয়।
- নিমপাতায় রয়েছে ফাঙ্গাস ও ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধকারী উপাদান। যা খুশকি দূর করতে কার্যকর।
- ত্বকের শুষ্কতা ও চুলকানি থেকে মুক্তি দেয় নিম। চুলের গোড়া শক্ত করতে এবং বৃদ্ধি বাড়াতেও নিম কার্যকর।
- চুল ও মাথার ত্বকে কন্ডিশনার হিসেবে নিম ব্যবহার করা যায়।
- ত্বকের প্রদাহ এবং চামড়া ওঠা প্রতিরোধ করে।
- ব্রণের জন্য দায়ি ব্যাকটেরিয়া যেমন, ‘প্রোপিয়োনিব্যাকটেরিয়াম একনেস’ ও ‘স্টাফিলোতোকাস এপিডারমিডিস’য়ের বৃদ্ধি রোধ করে নিম।
- ত্বকের যত্নে নিমের তেল এবং নিমের পাতা উৎকৃষ্ট উপকরণ। ত্বকের শুষ্কতা দূর করে এবং চুলকানি, লালচেভাব ও প্রদাহ নিরাময় করে।
ব্যাকটেরিয়াজনিত প্রদাহ যেমন: ব্রণ এবং আলসার দূরে রাখতেও উপকারী নিম।
নিমের অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল উপাদান ক্ষতস্থান সারিয়ে তোলে। ক্ষতস্থানকে প্রদাহ ও পঁচে যাওয়া থেকেও বাঁচায়।
ব্রণের ক্ষেত্রে, ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে সমূলে লড়াই করে নিম। পুনরায় ব্রণ হওয়া রোধ করে ও ব্রনের দাগও দুর করে।
- নিমে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা পরিবেশগত দূষণ এবং বয়সজনিত প্রভাব থেকে ত্বক রক্ষা করে।
- নিমের তেলে থাকে ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিন ই যা ত্বক দ্রুত শুষে নেয়। ত্বকের লাবণ্য ধরে রাখতে এবং স্থিতিস্থাপকতা রক্ষা করতেও এটি সহায়ক।
- ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে এবং ত্বকের বিভিন্ন অংশের রংয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য রাখতে সাহায্য করে।
- নিমের তেলে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
- ত্বক পরিষ্কার করতে কার্যকর নিমপাতা। এটি লোপকূপ দৃঢ় করে। মাস্ক হিসেবে নিমপাতা ব্যবহার করলে ত্বকের দূষিত পদার্থ দূর করে।
- ত্বকের ফাঙ্গাসজনিত প্রদাহ নিরাময়ে কার্যকরী নিম।
ছবি: দিপ্ত।