নিজেকে সুন্দরভাবে সাজাতে বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকেন নারীরা। প্রসাধনীগুলো ভালোভাবে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন ব্রাশ, স্পঞ্জ, অ্যাপ্লিকেটরের মতো কিছু অনুষঙ্গ। আর এই জিনিসগুলো সঠিকভাবে পরিষ্কার ও সংরক্ষণ না করা গেলে তা সহজেই নষ্ট হয়ে যায় পাশাপাশি ত্বকেরও ক্ষতি করে।
রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে মেইকআপের অনুষঙ্গ দীর্ঘ দিন ব্যবহারযোগ্য রাখার জন্য কিছু বিষয় উল্লেখ করা হয়।
- মুখে ফাউন্ডেশন মিশিয়ে নেওয়ার মেইকআপ স্পঞ্জ ব্যবহৃত হয়। এটি প্রায় প্রতিদিনিই প্রয়োজন পড়ে। এ কারণে সপ্তাহে অন্তত এক দিন স্পঞ্জ ভালোভাবে পরিষ্কার করা উচিত।
স্পঞ্জ সরাসরি ত্বকের সংস্পর্শে আশে, ফলে ব্যক্টেরিয়ার সংক্রমণও হয় দ্রুত। খানিকটা গরম পানিতে তরল সাবান গুলিয়ে তাতে ভালোভাবে স্পঞ্জ ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে রোদে বা বাতাসে শুকিয়ে নিতে হবে।
- চোখের মেইকআপ যারা ভালোবাসেন তাদের জন্য আইল্যাশ কার্লার বেশ প্রিয় একটি বস্তু। তবে দীর্ঘদিন ব্যবহারে ল্যাশ কর্লারে লাগানো রাবারের প্যাড ক্ষয় হয়ে যায় এবং উঠে আসে। তাই আট মাস পর পর এই প্যাড বদলে নেওয়া যেতে পারে। এতে পুরো কার্লার বদলে ফেলার প্রয়োজন হবে না। তাছাড়া মাসে একবার আই মেইকআপ রিমুভার অথবা বেবি অয়েল দিয়ে কার্লার পরিষ্কার করে নিতে হবে।
- প্রতি ২০ দিনের ব্যবধানে মেইকআপের ব্রাশ ধুয়ে নেওয়া উচিত। নতুবা অপরিষ্কার ব্রাশ ব্যবহারের ফলে ত্বকে ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমন হতে পারে। ব্রাশ ধোয়ার জন্য শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। পানিতে ভিজিয়ে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে বাতাসে শুকিয়ে নিতে হবে।
- ব্যবহারের ফলে কাজল এবং লিপলাইনার শার্পনারের ধার কমে আসে। কারণ চোখা করার ফলে কাজল বা লিপলাইনারের কিছু অংশ ব্লেডে লেগে যায়। তাই শার্পনার ফেলে না দিয়ে কটনবাড খানিকটা টোনারে ভিজিয়ে নিয়ে ব্লেড পরিষ্কার করে নিলেই তা আবারও দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যাবে।
- মেইকআপ সবাই আলাদা ব্যাগ বা বক্সে সংরক্ষণ করে থাকেন। আর ওই ব্যাগ বা বাক্সও নিয়ম করে পরিষ্কার করতে হবে। কারণ অপরিষ্কার থাকলে এবং সেখানে ধুলাবালির জমার কারণে ব্যক্টেরিয়ার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাবে। ভেজা টিস্যু বা মেইকআপ ওয়াইপস দিয়ে মেইকআপ রাখার ব্যাগ বা বক্স পরিষ্কার করে নিতে হবে।
ছবি: রয়টার্স।