কষ্টটা মাত্র কয়েকদিনের। এক্ষেত্রে পরিস্থিতি অনুকূলে আনতে প্রয়োজন সাহস ও ধৈর্যশক্তি।
Published : 16 Nov 2015, 02:03 PM
যদি নিজেকে শক্ত রাখতে পারেন তাহলে সময়টা আরও কমে আসবে। সম্পর্কবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট জানিয়েছে ‘ব্রেকআপ’ বা বিচ্ছেদের অবসাদ থেকে বেরিয়ে আসার কিছু পন্থা।
গান শোনা: মন খারাপ? গান শুনুন। কারণ জীবনের সকল পরিস্থিতির জন্যই রয়েছে উপযুক্ত গান। তবে প্রাক্তন সঙ্গীর কথা মনে করিয়ে দিতে পারে এমন গান থেকে সাবধান। মন প্রফুল্ল করে এমন গান শুনতে হবে।
ভারতের মিউজিক থেরাপি বিশেষজ্ঞ রনজিত মিশরা বলেন, “মানসিক অবস্থার উপর সংগীতের রয়েছে যাদুকরি প্রভাব। তাই যে গানগুলো শুনলে নিজের অজান্তেই আপনার পা নেচে উঠে সেগুলো আপনার মন ভালো রাখতে সাহায্য করবে। গান শোনার সময় আমাদের হাত, পা বা মাথা নাচানোর মানে হল- চিন্তার সাগরে হারিয়ে যাইনি বরং গানের সুর উপভোগ করছি।”
‘সোশাল মিডিয়া’ দূরে রাখা: স্মার্টফোনের কল্যাণে কাজটা কঠিন হতে পারে। তবে বিচ্ছেদের কষ্ট থেকে বেরিয়ে আসার জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সোশাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকলে প্রাক্তন সঙ্গীর সঙ্গে তোলা ছবি দেখা এবং তার দৈনন্দিন খবরগুলো জানার অত্যাচার থেকে মুক্তি মিলবে।
অনুসরণকারী হওয়া যাবে না: প্রাক্তন সঙ্গীর একটি হাসিখুশি ছবিই আপনাকে বিষাদগ্রস্ত করতে যথেষ্ট। তাই কোনো অবস্থাতেই প্রাক্তন সঙ্গীর দৈনন্দিন কার্যাবলী জানার উদ্দেশ্যে তাকে অনুসরণ করা যাবে না। প্রাক্তন সঙ্গী কী করছে তার চাইতে নিজেকে নিয়ে চিন্তা করা বেশি জরুরি। অনুসরণ কখনও স্বাস্থ্যকর নয়, এমনকি বিচ্ছেদের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার পরও।
রোমান্টিক সিনেমা না দেখা: সিনেমা হয়ত বিচ্ছেদের কষ্ট থেকে সাময়িক মুক্তি দিতে পারে, তবে তা কোনো সমাধান নয়। সিনেমা দেখে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া বা অনুমান করাও উচিৎ নয়। সকল হাসিখুশি দম্পতির প্রেমজীবন ঝামেলা মুক্ত নাও হতে পারে। বরং রোমাঞ্চকর, প্রামাণ্যচিত্র, এমনকি ভয়ের সিনেমাও দেখা যেতে পারে। এগুলো আপনার মনকে ব্যস্ত রেখে মন খারাপ করার চিন্তগুলো দূরে রাখবে।
বিচ্ছেদ নিয়ে আলোচনা না করা: ক্লিনিকাল মনোবিজ্ঞানী সুজাতা প্রভু বলেন, “বিচ্ছেদ পরবর্তী সময়ে সময় কাটানোর উপযুক্ত সঙ্গী হতে পারে বন্ধুমহল। তবে বন্ধুমহলে আলোচনার বিষয় যদি আপনার বিচ্ছেদ হয়, তাহলে ঘটতে পারে হিতে বিপরীত। তাই এসময় আপনার প্রেমজীবন সম্পর্কে অতি উৎসাহী বন্ধুদের কাছ থেকে একটু দূরে থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।”
ছবি: রয়টার্স।