ব্রিটিশ বিহেইভিয়ারাল ইকোলজিস্ট ড. ফিওনা মুর এই বিষয়ে গবেষণা চালিয়ে দেখতে পান, হতাশা এবং মানসিক চাপের প্রভাব পড়ে ত্বকে। এতে সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায় খুব সহজেই।
তিনি বলেন, “মানসিক চাপ এবং হতাশা বেড়ে গেলে শরীরে কর্টিসল হরমোনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এই হরমোন ত্বক ম্লান করে ফেলে। তাই চেহারার সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়।”
তাছাড়া এই হরমোন, শরীরে গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়ানোর পাশাপাশি পেশি এবং হাড়ের গঠনেও ব্যাঘাত গঠায়।
ডেইলি মেইল’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. ফিওনা বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি পুরুষের কম মানসিক চাপ এবং নারীর বেশি সৌন্দর্য, অশান্ত পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ক্ষমতা তৈরি করে। যা হতে পারে দৃঢ় জেনেটিক ‘মেইক-আপ’, তারা হতে পারে উপযুক্ত সঙ্গী এবং তাদের এই ক্ষমতা সন্তানের মাঝে ভালো ‘জিন’ স্থানান্তর করবে।”
গবেষণার অংশ হিসেবে মুখের লালার নমুনা থেকে কর্টিসলের মাত্রা পরিমাপ করেন এবং অংশগ্রহণকারীদের মুখের ছবি তোলেন ড. মুর।
তিনি বলেন, “আমরা দেখেছি, লালায় যাদের কর্টিসলের পরিমাণ কম তাদের তুলনায় যাদের বেশি সেসব নারী ও পুরুষের মুখ তুলনামূলকভাবে কম আকর্ষণীয় ও কম স্বাস্থ্যের অধিকারী হয়।”
তিনি আরও বলেন, “তবে এর নির্দিষ্ট কোনো কারণ খুঁজে না পেলেও স্বাভাবিক ভাবে স্বাস্থ্যবান দেখানোর উপরেই হয়ত এটা নির্ভরশীল।”
ছবি: রয়টার্স।