কারণ নতুন এক গবেষণা বলছে, স্বাস্থ্যকর খাবার কম খাওয়ার তুলনায় সবকিছু পরিমাণ মতো খাওয়া বিপকীয় স্বাস্থ্যকে খারাপের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
Published : 31 Oct 2015, 05:33 PM
গবেষণার লেখক, যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনে অবস্থিত দ্য ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস হেলথ সাইন্স সেন্টারের সহকারী অধ্যাপক মার্সিয়া সি দে অলিভেইরা অট্টো বলেন, “পরিমাণ মতো খাওয়া হল অনেকদিনের প্রতিষ্ঠিত খাদ্যাভ্যাস বিষয়ক পরামর্শ। তবে বে জনগনের মধ্যে এই পরামর্শের পেছনে তেমন কোনো অভিজ্ঞতা নির্ভর প্রমানাদি নেই।”
গবেষকরা ৬ হাজার ৮১৪ জন অংশগ্রহণকারীর তথ্য ব্যবহার করে বিভিন্ন দিক থেকে খাদ্যাভ্যাসের পার্থক্য পর্যবেক্ষণ করেন।
এর মধ্যে ছিল পুরো সপ্তাহ ধরে অংশগ্রহণকারীরা কোন খাবারগুলো খেয়েছেন, তাতে কি পরিমাণ ক্যালরি ছিল এবং বিপাকীয় স্বাস্থ্য অনুযায়ী ওই খাবারের ধরণ কী ছিল। যেমন, আঁশজাতীয়, সোডিয়াম বা ট্রান্স-ফ্যাট কনটেন্ট।
খাদ্যাভ্যাসের ভিন্নতার সঙ্গে গবেষণা শুরু হওয়ার ৫ বছরের মধ্যে কোমরের পরিধি পরিবর্তনের এবং ১০ বছরের মধ্যে টাইপ টু ডায়বেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্পর্ক পর্যালোচনা করেন গবেষকরা।
শরীরের কেন্দ্রিয় অঞ্চলের চর্বি এবং বিপাকীয় স্বাস্থ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক হল কোমরের পরিধি।
গবেষকরা দেখেন খাদ্যাভ্যাসের ভিন্নতার সঙ্গে সুস্বাস্থ্যের কোনো সম্পর্ক নেই।
যেসব অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়েছেন আসলে তাদেরই শরীরের মাঝের ওজন বেড়েছে। খাদ্যাভ্যাসে ভিন্নতা কম এমন অংশগ্রহণকারীদের তুলনায় তাদের কোমরের পরিধি বেড়েছে ১২০ শতাংশ বেশি।
অট্টো বলেন, “একটি অপ্রত্যাশিত অবিষ্কার হল যেসব অংশগ্রহণকারীর খাদ্যাভ্যাসে ভিন্নতা বেশি মূলত তাদেরই খাবার খাওয়ার মান বেশি খারাপ। তারা স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন, ফল, সবজি খান কম আর অস্বাস্থ্যকর খাবার যেমন, প্রক্রিয়াজাত মাংস, ডেজার্ট, সোডা ইত্যাদি বেশি খেয়ে থাকেন।”
অট্টো আরও বলেন, “এ থেকে সম্ভবত বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়ার সঙ্গে কোমরের পরিধি বেড়ে যাওয়ার সম্পর্ক ব্যখ্যা করা যায়।”
পিএলওএস ওয়ান নামক জার্নালে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়।
ছবি: রয়টার্স।