গবেষণায় দেখা যায়, একই গতিতে হাঁটার পরিবর্তে গতি পরিবর্তন করে হাঁটলে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বেশি ক্যালরি খরচ হয়।
গবেষণার সহ-লেখক, যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইয়ো ইউনিভার্সিটির মেক্যানিকল ও এরোস্পেইস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মনোজ শ্রীনিভাসন বলেন, “আমরা দেখেছি গতি পরিবর্তন করলে হাঁটার কারণে যথেষ্ট ক্যালরি খরচ করতে পারে।”
গবেষকরা আরও জানতে পারেন, প্রতিদিন হাঁটাহাঁটির মাধ্যমে সাধারণত আমরা শতকরা আট ভাগ শক্তি খরচ করি যা হাঁটা শুরু ও শেষ করার কারণে প্রয়োজন হতে পারে।
হাঁটার গতি পরিবর্তন করলে ক্যালরি খরচের উপর এর কী প্রভাব পড়ে তা পরিমাপ করতে অংশগ্রহণকারীদের ট্রেডমিলে হাঁটানো হয়। ট্রেডমিলের গতি অপরিবর্তীত রেখে অংশগ্রহণকারীদের পা ফেলার গতি পরিবর্তন করার নির্দেশ দেন গবেষকরা।
গবেষণার প্রধান লেখক, ওহাইয়ো ইউনিভার্সিটির মেক্যানিকল বিভাগে ডক্টরেট ডিগ্রিধারী নিধি সিথাপাথি বলেন, “যেকোনো গতিতে হাঁটলেই ক্যালরি খরচ হয়। তবে যখন আপনি গতি পরিবর্তন করেন, তা যেন গ্যাস প্যাডেল চাপার মতো। গতিশক্তি পরিবর্তন করার জন্য পায়ের কাজ বেড়ে যায় এবং এই পদ্ধতি ক্যালরি খরচ বাড়ায়।”
কীভাবে হাঁটলে বেশি ক্যালরি খরচ হবে এই সম্পর্কে পরামর্শ দিতে গিয়ে শ্রীনিভাসন বলেন, “এর জন্য অদ্ভূত কাজ করতে পারেন। যেমন: কাঁধে ব্যাগ নিয়ে হাঁটা। পায়ে ওজন নিয়ে হাঁটা। বিরতি দিয়ে হাঁটাও উপকারী। সোজা রাস্তায় হাঁটার পরিবর্তে আঁকাবাঁকা পথে হাঁটলেও মিলতে পারে বাড়তি উপকার।”
গবেষণার ফলাফল ইঙ্গিত করে সনাতন পদ্ধতি অনুসরণের কারণে মানুষ সম্ভবত দৈনিক হাঁটাহাঁটি বা খেলাধুলার মাধ্যমে ক্যালরি খরচের পরিমাণকে সঠিক মূল্যায়ন করছে না।
বায়োলজি লেটারস নামক জার্নালে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়।