শেইভিংয়ের ভুলত্রুটি 

পায়ের লোম কামানোর সময় ত্বক যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে খেয়াল দিন।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Oct 2015, 11:31 AM
Updated : 7 Oct 2015, 11:32 AM

সৌন্দর্যে বাধা হয়ে দাঁড়ায় হাত ও পায়ের অবাঞ্চিত লোম। এই লোম দূর করার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ও ভেজালবিহীন উপায় হল শেইভিং। তবে নিয়মিত শেইভিংয়ের ফলে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

সঠিকভাবে এবং কিছু ভুলত্রুটি এড়িয়ে শেইভিং করা হলে ত্বকের ক্ষতি অনেকটাই এড়ানো সম্ভব। রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে শেইভিংয়ের কিছু সাধারণ ভুলের বিষয় উল্লেখ করা হয়।

- গোসলের আগে অনেকে পায়ের লোম শেইভ করে থাকেন। তবে কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসলের ফলে পায়ের লোম নরম হয় এবং শেইভিংয়ে সুবিধা হয়। তাছাড়া এতে ত্বকে অস্বস্থিকর অনুভূতিও কম হয়।

- শেইভিংয়ের আগে ত্বক স্ক্রাব ও এক্সফলিয়েট করার বিষয়ে অনেকেই জানেন না। এক্সফলিয়েট করার ফলে ত্বকে জমে থাকা ময়লা ও মৃতকোষ উঠে আসে। ফলে রেইজর সহজেই ত্বকের উপর চালানো যায় এবং শেইভিংও ভালো হয়।

- শেইভিংয়ের জন্য সাবান ব্যবহার খুবই সাধারণ একটি বিষয়। তবে সাবান ত্বক শুষ্ক করে। এর সঙ্গে রেজর দিয়ে শেইভ করার ফলে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যায়। ফলে জ্বালা করাসহ অন্যান্য সমস্যা হতে পারে। তাই ত্বকের এই সমস্যা এড়িয়ে চলতে শেইভিং ক্রিম অথবা কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত।

- একই রেজর বার বার ব্যবহারের ভুল কম বেশি সব মেয়েরাই করে থাকেন। প্রতিবার ব্যবহারে রেজরের কার্যক্ষমতা কমে যায়। ফলে নিখুঁত শেইভ করা সম্ভব হয় না। তাছাড়া ত্বক কেটে যাওয়া বা জ্বালা ধরার সম্ভাবনাও থেকে যায়। তাই নিয়মিত রেজর বদলানো জরুরি।

- নিখুঁত শেইভের জন্য অনেকে চাপ দিয়ে শেইভ করে থাকেন। তবে নতুন বা পুরানো যেকোনো রেইজর ব্যবহারের সময় বেশি জোরে চাপ প্রয়োগ করা হলে রেইজরের সঙ্গে ত্বকের মৃত কোষ উঠে আসতে পারে, যা শেইভিংয়ে বারবার বাঁধা সৃষ্টি করবে। তাছাড়া ত্বক কেটে যাওয়ারও সম্ভাবনা থাকে।

- কোন দিকে শেইভ করলে ভালো ও নিখুঁত ফলাফল পাওয়া যাবে তা অনেকেই জানেন না। মূলত নিচ থেকে উপরের দিকে শেইভ করা হলে সবচাইতে নিখুঁত শেইভ করা সম্ভব। এতে ত্বকে জ্বলুনি হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যায়।

- শেইভিংয়ের সময় তাড়াহুড়া করা একদমই উচিত নয়। এতে ত্বকের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা বেড়ে যায়। তাই সময় নিয়ে যত্ন করে শেইভ করা উচিত।

- অন্যের ব্যবহৃত রিইজর ব্যবহারের ভুল নতুন কিছু নয়। অনেকেরই জানা নেই, রেইজরে শেইভিংয়ের ফলে ত্বকের অনেক ব্যক্টেরিয়া লেগে যায়। তাই অন্যের ব্যবহৃত রেইজর ব্যবহারের ফলে অন্যের ব্যক্টেরিয়া নিজের ত্বকে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।

- শেইভিংয়ের ফলে ত্বকের নমনীয়তা কমে। ফলে চামড়া হয়ে যায় শুষ্ক। এতে ত্বকে অস্বস্থি অনুভূত হতে পারে। তাই শেইভিংয়ের পরপরই ত্বকে প্রচুর ময়েশ্চারাইজার মাখতে হবে। এতে ত্বকের নমনীয়তা বজায় থাকবে।